শনিবার দুপুরে ‘রফতানিবাণিজ্য ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ বৈঠকিতে মাফরুহা সুলতানা বলেন, ‘বাংলাদেশ এক সময় বিশ্বের মাত্র ২৫টি পণ্য রফতানির মধ্য দিয়ে তার রফতানি কার্যক্রম শুরু করেছিল। আজ সেই বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর ৬৮টি দেশে তার উৎপাদিন বিভিন্ন পণ্য রফতানি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টিতেও কাজ করছে সরকার। তিনি জানান, ‘কেবল নতুন বাজার তৈরির দিকে মনোযোগী হলেই হবে না, একইসঙ্গে পুরনো বাজারটাও তো ধরে রাখতে হবে। আমাদের একটি ট্রেড পলিসি হচ্ছে।’
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশাল বাজারের চাহিদা পূরণ করে আমরা স্বাধীনতার পর থেকে রফতানির প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারছি। আর এতে মূল ভূমিকা পালন করেন ব্যবসায়ীরা। শুরুতে আমরা ২৫টি পণ্য নিয়ে ৬৮ দেশে রফতানি শুরু করলেও এখন ৭৪৪টা পণ্য বাংলাদেশ থেকে রফতানি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘রফতানির বাজারে এই মুহূর্তে সাতটি পণ্য বেশি ভূমিকা রাখে বলা হলেও ৮২ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকেই আসছে। আমাদের অবশ্যই বাজার বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্যের ধরনে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে।’
বেসরকারি টেলিভিশন ৭১ টিভির বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সঞ্চালনায় ‘রফতানি বাণিজ্য ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক’ বৈঠকিতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ রফতানিকারকদের সংগঠন—এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)’র সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, এজিডব্লিউইবি-এর সভাপতি মৌসুমী ইসলাম বিডি জবস ডট কম-এর প্রধান নির্বাহী ফাহিম মশরুর, ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান ও দৈনিক প্রথম আলো’র বার্তা সম্পাদক শওকত হোসেন মাসুম।
ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগে এক সময় বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২৫টি পণ্য রফতানি হতো। বর্তমানে সে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে যদিও তৈরি পোশাক খাত রফতানিতে ৮২ শতাংশের অবদান রাখছে। আজ বাংলাদেশ থেকে ৭৪৪টি পণ্য রফতানি হচ্ছে। রফতানি যোগ্য পণ্যের ভাণ্ডার বাড়াতেও কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি। সদ্য সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছর বাংলাদেশ ৩৩ বিলিয়ন রফতানি টার্গেটের বিপরীতে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ৩৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।’ তিনি জানান, এক সময় ছিল যখন বিদেশে দূতাবাসগুলোয় পোস্টিং পাওয়া কমার্শিয়াল কাউন্সেলররা তার কাজ বা দায়িত্ব সম্পর্কে ততটা অবহিত থাকতেন না। কিন্তু এখন সময় বদলেছে, এখন তিন মাস প্রশিক্ষণের পরই দূতাবাসগুলোয় কর্মার্শিয়াল কাউন্সিলর পদে নিয়োগ পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের যে দেশের দূতাবাসে পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে, সে দেশে বাংলাদেশের কোন কোন পণ্য রফতানি হয়, সে দেশের ট্যারিফ কাঠামো কেমন, সে দেশে আমরা আর কী পণ্য রফতানি করতে পারি, সে দেশের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদাসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে একটি আগাম ধারণা দিয়ে পাঠানো হয়। এর ফলে নিয়োগপ্রাপ্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সে দেশে কাজ করতে সহজ হয়।
আরও পড়ুন: তবুও আস্থা হারায় না বাংলাদেশ
/এমএনএইচ/