শনিবার টঙ্গিতে কোম্পানির ফ্যাক্টরি সরেজমিনে পরিশর্দন কালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট।
জানা গেছে, পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থের ৬৩ শতাংশ বা ৪৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে কোম্পানি সম্প্রসারণে। এই অর্থ মূলত সলিড ওষুধ (ট্যাবলেট, ক্যাপসুল) তৈরির মেশিনারিজ আমদানি করা হবে। কোম্পানির ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হবে ২৩ কোটি টাকা এবং আইপিওতে ব্যয় হবে ৩ কোটি টাকা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব অনুযায়ী প্রথম ৬ মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ (এনএভি) মূল্য হয়েছে ১৩ টাকা ১২ পয়সা।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২২৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে কোম্পানিটির। সর্বশেষ ৩ বছরে কোম্পানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ।
কোম্পানির পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন ওষুধ শিল্পের বাজার প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রায় ২ শতাংশ বাজার পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের দখলে।’
কামরুল হাসান বলেন, ‘পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের এখন ৪শ’টির বেশি ব্র্যান্ড রয়েছে। ২০০৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত একশটির বেশি ব্র্যান্ড ওষুধ রফতানি করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশে।’
কোম্পানির পরিচালক এম মালেক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলতে চায় মূলত কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য। আমরা এই টাকা দিয়ে সলিড পণ্য তৈরির মেশিন আমদানি করতে চাই। তবে এর মাধ্যমে কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারখানার পাশে আরও একটি ৬তলা ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে আমাদের। সেটা করতে পারলে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়বে। অবশ্য পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে যে মেশিনারিজ কেনা হবে তা বর্তমান কারখানাতেই স্থাপন করা হবে।’
১৯৮৩ সালে ডায়াগনাস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় পপুলার গ্রুপের। এরপর ২০০৫ সালে ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে যাত্রা শুরু করে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এরপর ২০০৬ সালে ওষুধ রফতানি শুরু। এখন কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি টাকা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ বদরুদ্দিন, কোম্পানির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার রবিন কুমার পাল ও সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মাসুদ হাসান প্রমুখ।
/এসএনএইচ/