শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়ে এর আগেও কয়েকবার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সরবরাহকৃত নিম্নমানের সরঞ্জাম ফিরিয়ে দেওয়াসহ অভ্যন্তরীণ কারণে নির্মাণ কাজ কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এখন সরকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে বিদ্যমান সব সমস্যার সমাধান করেছে। এরপরও চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবার যারা হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তর করবে না, সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে তাদের নামে বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল করা হবে।’
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘হাজারীবাগের ট্যানারি বুড়িগঙ্গা নদীসহ রাজধানীর পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চামড়াজাত পণ্যের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাভারে পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরীতে উৎপাদন শুরু হলে চামড়া শিল্পখাতে মূল্য সংযোজন ও রফতানির পরিমাণ বাড়বে।’
বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব শিল্পের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে দ্রুত হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর করে বিশ্বের কাছে পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পের নজির স্থাপনের জন্য ট্যানারি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী।
পরে শিল্পমন্ত্রী চামড়া শিল্পনগরীতে স্থাপিত কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার ও পানি শোধনাগার পরিদর্শন করেন। তিনি প্রকল্পের বিভিন্ন প্লটে ট্যানারি কারখানা নির্মাণ কার্যক্রমও ঘুরে দেখেন।
সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখারসহ চামড়া শিল্প মালিক, প্রকল্পের চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, বুয়েট ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রতিনিধি, শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
/এসআই/এমএনএইচ/