চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌ-পথ খননে ৩২০০ কোটি টাকা

বৃহস্পতিবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীচট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌ-পথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণের জন্য তিন হাজার ২শ’ কোটি টাকার প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩২০ কোটি এবং প্রকল্প সাহায্য আসবে ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘একনেক সভায়  ৯ হাজার ৬৬৩ কোটি  ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হার শতকরা ১৪ ভাগ। গত বছরে একই সময়ে এ হার ছিল শতকরা ১১ ভাগ। টাকার অংকে চার মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার চারশত কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বেশি।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ হবে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সুপার করিডোর। সড়ক ও রেল যোগাযোগের পাশাপাশি নৌ-পথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ নদী সমূহের নাব্যতা বৃদ্ধি করা হবে। ২০২১ সালে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি সফলভাবে এগিয়ে চলছে। সরকারের এ কর্মসূচি অব্যহত থাকলে ২০১৯ সালের মধ্যেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছবে।

তিনি আরও বলেন, ‘সভায় প্রধানমন্ত্রী নতুন করে মহাসড়ক নির্মাণ করার সময় সড়কের পাশে জলাধার তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।’

একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে- তিন হাজার ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌ-পথ খনন এবং র্টামনিালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ), ২৮৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা-মহেরেপুর-মুজিবনগর সড়ক উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’, ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘১৯টি নৌ পুলশি ফাঁড়ি ও ব্যারাক নর্মিাণ প্রকল্প’, ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জামালপুর-মাদারগঞ্জ মহাসড়কে ৩টি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প’ ২ হাজার ৯৮২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘গ্রিড ভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প’, ৮৬৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকশেনে ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপন প্রকল্প, ৩২৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘নোয়াখালী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’, ২৩৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কুমার নদ পুনঃখনন প্রকল্প’।

/এসআই/এসএনএইচ/