সুদানে চলতি অর্থ বছরে রেকর্ড পরিমাণ পাটপণ্য রফতানি হচ্ছে

বিজেএমসি

বিজেএমসি সুদানে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রেকর্ড পরিমাণ পাট পণ্য রফতানি করতে যাচ্ছে।  চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার  বেলের চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার ১৪ হাজার বেল পাট বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৫১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে তাইফ ইন্টারন্যাশনাল-এর স্বত্বাধিকারী আামিন আবদেল লতিফ-এর অনুকূলে এক লাখ দশ হাজার  বেল এবং জিএফটিসিএল-এর স্বত্বাধিকারী মোস্তাক হোসেন-এর অনুকূলে পঁচাত্তর হাজার বেল পাট  বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে বিজেএমসি প্রায় ষাট হাজার বেল পাটপণ্যের শিপমেন্ট সম্পন্ন করতে পেরেছে। বাকি এক লাখ চুয়াল্লিশ হাজার বেল রফতানির জন্য প্রস্তুতির কাজ জোরালোভাবে চলছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ সালে বিজেএমসি থেকে জিএফটিসিএল-এর স্বত্বাধিকারী মোস্তাক হোসেন এবং তাইফ ইন্টারন্যাশনাল-এর স্বত্বাধিকারী আমিন আবদেল লতিফ সুদানে কোনও পাট পণ্য রফতানি করেননি। মোস্তাক হোসেন ২০১৪-১৫ সালে তেষট্টি হাজার চারশত পনেরো বেল পাটপণ্য সুদানে রফতানি করেছেন। তাইফ ইন্টারন্যাশনাল ২০১৩-১৪ সালে কোনও পণ্য সুদানে রফতানি করেনি।

বিজেএমসি আগে দৈনিক মাত্র সাত শত পঞ্চাশ বেল স্ট্যান্ডার্ড বি.টুইল পণ্য উৎপাদন করতো, এ হিসাবে প্রতিমাসে গড় উৎপাদন ছিল ১৮-২০ (আঠার থেকে বিশ) হাজার বেল । প্রসঙ্গত ১ বেল মানে দশমিক ৪১ টন পাট।

কিন্তু বর্তমানে সুদানসহ বিভিন্ন দেশের অব্যাহত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে  দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার পঞ্চাশ বেল এ উন্নীত করা হয়েছে। এর ফলে মাসিক উৎপাদন ছাব্বিশ হাজার বেল এ উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০’ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ফলে অভ্যন্তরীন চাহিদা বাড়ায় বিজেএমসি’র উৎপাদন ক্ষমতা দিন দিন আরও বাড়ছে।

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বিজেএমসিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার জন্য সব ধরনের কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন বিজেএমসি’র প্রত্যাশা, দ্রুতই দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার দুই শত আশি বেল অর্থাৎ প্রতি মাসে বত্রিশ হাজার বেল এ উন্নীত হবে।২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আরও দুই লাখ বিশ হাজার বেল পরিমাণ পাটপণ্য সুদানে রফতানির পরিকল্পনা নিয়ে বর্তমানে বিজেএমসি কাজ করছে। 

/এসআই/টিএন/