ঋণখেলাপি প্রার্থী চিহ্নিত করতে ব্যাংকগুলোকে ৮ নির্দেশনা

জেলা পরিষদ নির্বাচনজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, ঋণখেলাপিরা প্রার্থী হতে পারবেন না। কোনও ঋণখেলাপি যেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণখেলাপির হালনাগাদ তালিকা করাসহ ৮টি নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। রবিবার দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে ওই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ২৮ নভেম্বর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্রটি জারি করা হয়।

পরিপত্রে উল্লিখিত আটটি নির্দেশনা হলো—ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ,  জরুরি ভিত্তিতে রিটার্নিং অফিসারকে তথ্য জানানো, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া, প্রার্থী কোনও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন কিনা, মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের আগেই ঋণ খেলাপের তথ্য রিটার্নিং অফিসারকে জানানো, প্রার্থী নির্বাচনি এলাকার বাইরে ঋণখেলাপি কিনা, ঋণ খেলাপের তথ্য যাছাই ও রিটার্নিং অফিসারের চাওয়া তথ্য তাৎক্ষণিক দেওয়া।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, ঋণ খেলাপ সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপনে কোনও ব্যাংক কর্মকর্তা যদি ব্যর্থ হন তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, ঋণ খেলাপ সম্পর্কিত তথ্যের নির্ভুলতার সম্পূর্ণ দায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপকের।

নির্দেশনায় ঋণখেলাপি চিহ্নিত করতে ১০ ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে  ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখাওয়ারি সব হিসাব হালনাগাদ করে খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। শাখা ব্যবস্থাপক স্ব-উদ্যোগে সেই তালিকার সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীদের তালিকা মিলিয়ে দেখবেন। ঋণখেলাপির তালিকার সঙ্গে প্রার্থীদের তালিকা ছক করে রিটার্নিং অফিসরকে বাহক মারফতে অথবা ফ্যাক্সে অথবা ই-মেইলে পাঠাবেন। এর মধ্যে কোনও খেলাপি গ্রাহক মনোনয়নপত্র দাখিল করে থাকলে অনতিবিলম্বে রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক অথবা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে খেলাপি ঋণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকতে হবে।

যে সব প্রার্থী নিজস্ব এলাকার পরিবর্তে অন্য একালায় লেনদেন করেন তাদের বিষয়ে নিদের্শনা বলা হয়েছে, প্রত্যেক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্ব-উদ্যোগে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের একটি তালিকা নির্বাচন কমিশন থেকে সংরক্ষণ করবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তালিকাপ্রাপ্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হালনাগাদকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখার ব্যবস্থা করবেন। পুনঃযাচাই করে ঋণখেলাপের তথ্যসহ তালিকা তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ও নিজ নিজ ব্যাংকের শাখায় পাঠাবেন।

ঋণখেলাপি কোনও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করলেও তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। যদি তার নাম রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস থেকে  সংশোধন করা না হয়।

/এমএনএইচ/