‘বাংলাদেশ ব্যাংকে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন গর্ভনর’

বাংলাদেশ ব্যাংকবাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর ভীতির সঞ্চার করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল। তাদের অভিযোগ, গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে চলেছেন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিভাবক হিসাবে ব্যাংককে পরিচালিত করার কথা থাকলেও তিনি সেখানে বিপরীত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত কাউন্সিলের একটি মত বিনিময় সভায় এসব অভিযোগ করা হয়।
কাউন্সিলের সভাপতি এইচ এম দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং যুগ্ম-পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই সভায় অংশ নেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান আমল থেকে চলে আসা সুবিধাসমূহ বাদ করে অফিসে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে চলেছেন গর্ভনর। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হতাশ এবং ক্ষুদ্ধ। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল চলমান সুবিধাদি কর্তন না করার জন্য একাধিকবার অনুরোধ জানালেও গভর্নর কোনও অনুরোধই রাখছেন না। এরকম পরিস্থিতিতে যেকোনও সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান গভর্নর দায়িত্ব গ্রহণের পর মাত্র ৯ মাস অতিবাহিত হয়েছে। অথচ এই স্বল্প সময়ের মাঝেই তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছেন। বর্তমান গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বাংলাদেশ ব্যাংকের নবীন কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ভালো ফলাফলের উপর একটি বিশেষ ইনক্রিমেন্ট বাতিল করেছেন। শুধু তাই নয়, প্রতি ৩ বছরে একবার মূল বেতনের ১.৫ গুন হারে শান্তি-বিনোদন ভাতাও হ্রাস করে মূল বেতনের সমান করেছেন যা বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সুপারিশের পরিপন্থী।

সভায় উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে পাসপোর্ট অধিদফতর ও এনবিআরের ওয়েব পেইজে বাংলাদেশ ব্যাংককে শুধুমাত্র ব্যাংক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও গবেষণা কোষ হতে প্রকাশিত ‘সরকারি সংস্থা সমূহের নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা ২০১৬’ শীর্ষক পুস্তকের ৩১ নং পৃষ্ঠায় বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা হিসাবে দেখানো হয়েছে যা বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের আদেশ নম্বর ১২৭) এর পরিপন্থী।

/জিএম/এমও/