প্রকল্পের অবদান বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

 

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকোনও প্রকল্প গ্রহণের আগে জাতীয় অগ্রগতিতে ওই প্রকল্প কী পরিমান অবদান রাখবে সে বিষয়ে গবেষণা লব্ধ ধারণা থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার ঢাকার এক হোটেলে ‘প্রবৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন গতিশীলতা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও  জনসংযোগ কর্মকর্তা ম.শেফায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘পদ্ধতিগতভাবে আমাদের এগুতে হবে। বিআইডিএস এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারের অভিপ্রায় হচ্ছে বিআইডিএসকে আমাদের অর্থনীতির জন্য সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে বিআইডিএস এ ২ থেকে ৩ টি বিষয়ের ওপর সেখান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি ও ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০৩০ সাল হবে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ এবং আমাদের অর্থনীতি হবে জ্ঞানভিত্তিক। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জনসংখ্যার বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের জন্য আতঙ্কজনক নয়। উন্নত বিশ্বে জনসংখ্যা কমছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রর চলমান গতি অব্যহত থাকলে ২০৪০ সালে বাংলদেশ হবে বিশ্বের ২০তম সমৃদ্ধশালী অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্বের ৭৪৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৮ কোটি দরিদ্র। ৮৯ কোটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শতকরা ২০ ভাগ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ, ভারত ,চীন ,ইন্দোনেশিয়া ও নাইজেরিয়াসহ ৬টি উন্নয়নশীল দেশে বাস করে। এদের মধ্যে ২৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ভারতে, ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ চীনে, ৪ দশমিক ৩ শতাংশ নাইজেরিয়ায়, ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বাংলাদেশে এবং ৩ দশমিক ৪ শতাংশ ইন্দোনেশিয়ায় বাস করে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- অর্থনীতিবীদ ড. ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদ।

/এসআই/এসএনএইচ/