আগামী অর্থবছর থেকে অটোমোবাইল রফতানিতে নগদ সহায়তা: বাণিজ্যমন্ত্রী

রানার অটোমোবাইলসে উৎপাদিত মোটরসাইকেল রফতানি উদ্বোধনের পর কারখানা পরিদর্শন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ
আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে অটোমোবাইল রফতানি খাতে নগদ সহায়তা দেবে সরকার। বিষয়টি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি আজ দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের উৎপাদিত মোটরসাইকেল নেপালে রফতানি শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।  
তোফায়েল বলেন, ‘বাংলাদেশের গল্প আজ সারাবিশ্ব শুনছে। একসময় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলা হতো বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। আজ সেই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের পক্ষে এখন সবই করা সম্ভব। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের মাত্র ২৫টি পণ্য বিশ্বের ৬৮টি দেশে রফতানি হতো। আজ সেই বাংলাদেশ ১৯৬টি দেশে ৭২৯টি পণ্য রফতানি করছে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি আয় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হলেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছর ২০২১ সালে তা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আমরা আশাবাদী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরতা না বাড়িয়ে রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে এখন আমরা মোটরসাইকেল রফতানিতেও সক্ষম হয়েছি। আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোটরসাইকেল রফতানি অর্থাৎ অটোমোবাইল খাতে প্রণোদনা দেওয়া হবে। এই নগদ সহায়তা কীভাবে পাওয়া যায় সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করা হবে।’

অনুষ্ঠানে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, রানার গ্রুপের সিইও মুকেশ শর্মা, ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. আমান উল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাইফুর রহমান শিখর বক্তৃতা করেন।
রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘২০১২ সালের ২১ জানুয়ারি তারিখে এই ভালুকায় মাত্র ৭শ’ শ্রমিক নিয়ে রানারের পথচলা শুরু হয়েছিল। ২০১৭ সালের সেই কারখানায় উৎপাদিত মোটরসাইকেল নেপালে রফতানি হলো। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।’
এসময় তিনি দেশীয় শিল্প রক্ষায় নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে।
/এসআই/ টিএন/