কলকাতার মিলন মেলা হলে দু’দিনব্যাপী এ বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী এর উদ্বোধন করেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, ভারতের কেন্দ্রিয় সরকারের অর্থ ও করপোরেটমন্ত্রী অরুন জেটলি বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশসহ ২৭টি দেশের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় ভারতকে কৌশলগত উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। শিল্প ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং বাণিজ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দু’দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে উভয় দেশের সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমানা চুক্তির বাস্তবায়ন, বর্ডার হাট চালু, ভারতীয় সেকেন্ড লাইন অব ক্রেডিট চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের উন্নয়নে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন, নতুন ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন বা ল্যান্ড পোর্ট স্থাপন, ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং ১০ জিবি ইন্টারনেট বেন্ডউইথ সরবরাহ ইত্যাদির কথা তিনি তুলে ধরেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় স্থান। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের বিনিয়োগনীতি ও শিল্পনীতি আধুনিক ও যুগোপযোগী করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় সেবা ও ইনসেনটিভ জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক, মহাসড়ক, বন্দরসহ যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার ১০০টি ইকোনোমিক জোন গড়ে তুলছে।’ ভারতের উদ্যোক্তারা চাইলে তাদের জন্যও একটি বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
/এসআই/এমএনএইচ/