কালো টাকা কাজে লাগানো জরুরি: এফবিসিসিআই

কালো টাকা যাতে বিদেশে চলে না যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, বলে মনে করে ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কালো টাকা কাজে লাগানো জরুরি। কালো টাকা (অপ্রদর্শিত অর্থ) পাচার রোধ করা গেলে দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ আরও গতিশীল হবে।’

এফবিসিসিআই সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনএফবিসিসিআই সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতে ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট নিষিদ্ধ করে অর্থপাচার রোধ করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।’

ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমানোর লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে একটি সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে অর্থপাচার রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হলে আভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।’ কালো টাকার ব্যবহারের বিষয়ে মুদ্রানীতিতে একটি নির্দেশনা থাকা জরুরি ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের জানুয়ারি-জুন মেয়াদে ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতি বিনিয়োগ সহায়ক হলেও এতে অনেক গ্যাপ রয়েছে। বেসরকারি খাতের জন্য ঋণের যোগান ১৭ শতাংশ করা হলে আরও বিনিয়োগ সহায়ক হতো। কালো টাকার বিনিয়োগের বিষয়ে একটি দিক নির্দশনা থাকা জরুরি ছিলো।’

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, ‘দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৬ সালের জুনে এর পরিমান ছিলো প্রায় ৬৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তবে বর্তমানে এ অর্থের পরিমান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই খেলাপি ঋণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অন্যথায় বিনিয়োগে গতি সঞ্চার করা সম্ভব হবে না।’

বাংলাদেশি পাট পণ্যের উপর ভারত কর্তৃক আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতে রফতানিকৃত বাংলাদেশি পাটপণ্যের উপর ভারত সরকার গত ৫ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রতি টন ১৯ মার্কিন ডলার থেকে ৩৫১ মার্কিন ডলার পর্যন্ত অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করেছে। এর ফলে ভারতে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে।’

/জিএম/এমও/