সব সময় বিজিএমইএ’র পাশে থাকবে এনবিআর

বিজিএমইএ-র পাশে থাকার অঙ্গীকার এনবিআরের

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-র পাশে সবসময় থাকতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংগঠনটির সভাপতি  মো. সিদ্দিকুর রহমানকে লেখা এক চিঠিতে এনবিআরের পক্ষ থেকে এই অঙ্গীকার করা হয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারি লেখা ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এনবিআর বিশ্বাস করে বিজেএমইএ’র সদস্যরা তাদের বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে একদিকে ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে, অপরদিকে দেশের জন্য সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এই অবদানের জন্য সংগঠনটির পাশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সবসময় থাকবে।  চিঠিতে বলা হয়েছে, এনবিআর ও বিজিএমইএ এর সুদৃঢ় অংশীদারিত্বের মধ্যে কোনও প্রকার ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বিজিএমইএ-র মধ্যে কোনও বিষয় অমীমাংসিত থাকলে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক সমাধান করা হবে। 

সিদ্দিকুর রহমানকে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিজিএমইএ-র সদস্য পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানসমূহ এনবিআরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে পোশাক শিল্পে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সর্বোচ্চ প্রণোদনা দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

চিঠিতে বলা হয়েছে,  কতিপয় সংবাদপত্র এনবিআর ও বিজিএমইএ –এ দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে ও জনমনে বিভ্রান্তির উদ্দেশ্যে নানা ধরনের ভুল তথ্য পরিবেশন করছে।

এনবিআর-এর চিঠিতে বলা হয়েছে, একটি গ্রুপের মালিকানাধীন পত্রিকায় সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সুনাম ক্ষুণ্ন করে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। রাজস্ব  সংগ্রহের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত ‘দুষ্টের দমন-শিষ্টের পালন’ নীতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের শত শত কোটি টাকার রাজস্ব জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে আসার প্রেক্ষিতে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করছে, যা রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের পরিচায়ক। এ ধরণের অপতৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ না হলে জনস্বার্থে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের একটি বক্তব্যেকে কেন্দ্র গত মঙ্গলবার বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয়, ব্যবসা ছেড়ে দিই। কিন্তু যখন অসহায় শ্রমিক ভাইবোনদের চেহারা মুখের সামনে ভেসে ওঠে, তখন আবার উদ্যমী হয়ে ব্যবসায় ঝাঁপিয়ে পড়ি।’

/জিএম/টিএন/