এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দাবি-দাওয়ার জন্য এই সংগঠন কাজ করবে।’ তিনি বলেন,‘জামায়াত শিবিরের কোনও নেতাকর্মী যাতে এই ব্যাংকে সুযোগ সুবিধা নিতে না পারে,সেজন্য সংগঠন ভূমিকা রাখবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘সাবেক এমডি আব্দুল মান্নান যেসব কর্মকর্তাকে ইসলামী ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত করেছেন, আমরা সেসব কর্মকর্তারা এক হয়েছি।’
এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের এই সংগঠন মূলত শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ)।’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন তারা এবং বর্তমানে কর্মরত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে এই সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাবেক এমডি মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের সময়ে বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২০১৬ সালে এক দিনেই ৭২ জনকে চাকরি থেকে ছাটাই করা হয়।’
এদিকে সাবেক এমডি মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন করেছে ইসলামী ব্যাংক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী চাকরিচ্যুত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানান।
মানববন্ধনের প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান জামায়াতের একজন সক্রিয় রোকন এবং স্বাধীনতাবিরোধী ও ঘাতক আলবদর বাহিনীর সদস্য। প্রচারপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জামায়াতে ইসলামীর আদর্শের অনুসারী না হওয়া ও জামায়াতকে নিয়মিত চাঁদা না দেওয়ায় অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাটাই করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে আরও ৬০/৭০ জন সৎ, যোগ্য ও কর্তব্যপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছিলেন।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বড় পরিবর্তন আনা হয়। এরপর থেকে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনাতেও বড় পরিবর্তন হয়। আগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছে নতুনদের। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জামায়াতে ইসলামীর দর্শন থেকেও ব্যাংকটিকে বের করে আনার চেষ্টা চলছে। আগে জামায়াত ঘরানার ব্যক্তিরা এই ব্যাংকটিকে নিয়ন্ত্রণ করতো, এখন সেই নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলমের হাতে।
/এপিএইচ/
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটে সীমাহীন ভোগান্তি মানুষের