ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি আনছে ওয়ালটন

ওয়ালটন এসিগরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে বাড়ছে এয়ার কন্ডিশনার বা এসির চাহিদা। ক্রমবর্ধমান এসির চাহিদা পূরণে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি আনার পরিকল্পনা করেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। গতবছরের চেয়ে চলতি বছর ৫৭ শতাংশ বেশি এসি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের দাবি- অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সঠিক বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা, গোল্ডেন ফিনের ব্যবহার, সাশ্রয়ী মূল্য, ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিতে ক্রয়ের সুবিধা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস পয়েন্ট থাকায় গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন এসি।

গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে মানসম্পন্ন এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানিও হচ্ছে। অত্যাধুনিক মেশিনারিজ স্থাপনের প্রেক্ষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আনুষঙ্গিক কাঁচামাল নিজস্ব কারখানায় তৈরির ফলে উৎপাদন খরচ কমেছে বহুলাংশে। ফলে বাজারে এসির দাম কমে এসেছে।

ওয়ালটন এসি বিপণন বিভাগের প্রধান আব্দুল বারী বলেন, চলতি বছর এসির সিংহভাগ বাজার দখলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫৭ শতাংশ। বাজারে ছাড়া হচ্ছে দেশের আবহাওয়া উপযোগী অসংখ্য মডেলের এসি। এর মধ্যে রয়েছে ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের ১.৫ টনের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি। চলতি মাসেই ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ২ টনের এসিও আসছে, যা সাধারণ এসির তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে ৩৫ হাজার টাকায় এক টন, ৪৩ হাজার ৯শ’ টাকায় ১.৫ টন ও ৫৪ হাজার ৬শ’ টাকায় ২ টনের ওয়ালটন এসি পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসির কনডেনসারে অ্যান্টি করোসিভ হাইড্রফিলিক গোল্ডেন কালার ফিন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। এতে এসির স্থায়ীত্ব আরও বাড়বে।’ 

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন আরঅ্যান্ডডি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার বলেন, ‘গোল্ডেন ফিন হলো এসির কনডেন্সারে হিট এক্সেঞ্জারের পৃষ্ঠতলে ক্ষয় ও মরিচারোধক হাইড্রফিলিক আবরণ। যা ধুলো, ময়লা, বাতাসের আর্দ্রতা ও উষ্ণতার কারণে সৃষ্ট ক্ষয় রোধ করে। সেইসঙ্গে তা কনডেন্সারে হিট এক্সেঞ্জারের স্থায়িত্ব ও কার্যকারীতা বাড়ায়। এটি ব্যবহারের ফলে ক্রেতাকে ঘনঘন এসি পরিস্কার বা মেরামতের ঝামেলা পোহাতে হয় না।’

ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিতে সেন্সর থাকায় ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা বুঝে সেই অনুযায়ী রেফ্রিজারেট সরবরাহ করে এবং ঘর ঠাণ্ড হয়ে গেলে কম্প্রেসার ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা সরবরাহ করে বিধায় এতে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়। কম্প্রেসারের স্থায়ীত্বও বাড়ে।’

/এসএনএইচ/