অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বেতন ও টিউশন ফিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচ বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘যেসব সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ও টিউশন ফি ১২ থেকে ২০ টাকার মধ্যে সেগুলোর টিউশন ফি বাড়িয়ে তা পাঁচগুণ করা হবে।’
আলোচনা সভায় বক্তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে (এসডিজি) সামনে রেখে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন, পরিবেশ, অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ইত্যাদি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
প্রাকবাজেট আলোচনা অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ এসিডিজি অর্জনে সক্ষম হবে। তবে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় বড় চ্যালেঞ্জ কলেই এ কাজে জেলা পরিষদগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে। আগামী ২ বছর পর দেশে বিড়ির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শাহীন আনাম বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি চালু করেছে। প্রতিবন্ধী, দলিত, হিজড়া, বেদেসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।’
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) আহ্বায়ক আবু নাসের খান বলেছেন, ‘অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মতো পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদফতর প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়েই ব্যস্ত থাকে। অথচ তাদের কাজ হওয়া উচিত অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশ-প্রতিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব পড়বে, তার মূল্যায়নে কাজ করা।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর বেতন ও টিউশন ফি ১২ থেকে ১৬ টাকা। হোস্টেল ফিও অনেক কম। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেতন ও আবাসিক হলের চার্জও দীর্ঘদিন ধরে অনেক কম। অথচ একই সময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ও টিউশন ফি অনেক বেশি। তাই যৌক্তিকভাবে এগুলো বাড়ানো উচিত।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শাহীন আনাম, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) আহ্বায়ক আবু নাসের খানসহ ৩৭টি এনজিওর কর্মকর্তারা।
/এসআই/এমএনএইচ/