রফতানি আয় কমেছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোচলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি আয় কম হয়েছে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৯৯৯ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৮৭২ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। সোমবার (৮ মে) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে।
হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এপ্রিলে পণ্য রফতানিতে মোট আয় হয়েছে ২৭৭ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২২ হাজার ৫৬৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা; যা এ সময়ের রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ কম। গত মাসে পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৮৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এপ্রিলে পণ্য রফতানিতে মোট আয় হয়েছিল ২৬৮ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের রফতানি আয় ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে রফতানি আয় বাড়লেও গত মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে রফতানি আয় ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মার্চে পণ্য রফতানিতে মোট আয় হয়েছিল ৩১০ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২৪ হাজার ৮৯৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল মোট ৩ হাজার ৪২৫ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবারের রফতানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৭২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রফতানি থেকে আয় হয়েছে ২ হাজার ৩১৩ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এ খাতের রফতানি আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতের পণ্য রফতানিতে ১ হাজার ১২৫ কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার এবং ওভেন গার্মেন্ট পণ্য রফতানি থেকে এসেছে ১ হাজার ১৮৮ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এর বাইরে এক বছরের ব্যবধানে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রফতানি আয় কমেছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ।

অন্যদিকে বছরের ব্যবধানে রফতানি আয় বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, হোম টেক্সটাইল পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, রাবার, প্লাস্টিক পণ্য, কৃষি পণ্য, কেমিক্যাল পণ্য ইত্যাদি।

/জিএম/জেএইচ/