বিএফআইইউয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা, ক্যাপিটাল মার্কেট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও অর্থ পাঠানো ও নিয়ে আসায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান এক হাজার ৬৮৭টি সন্দেহজনক লেনদেন বা সাসপিশাস ট্রানজ্যাকশন রিপোর্টিং (এসটিআর) করেছে। প্রতিমাসে গড়ে ১৪১টি করে এসটিআর পেয়েছে বিএফআইইউ। আগের অর্থবছর প্রতিমাসে এসটিআর আসে ৯১টি করে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অর্থপাচার, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, চোরাচালানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ টাকার লেনদেন বাড়ছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নগদ লেনদেনের (সিটিআর) এক কোটি ২৭ লাখ রিপোর্ট পাঠিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব লেনদেনে সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছরে সিটিআর বেড়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ঘুষ-দুর্নীতি, জঙ্গি বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন, মানবপাচার, চোরাচালান, মুদ্রা জাল করা থেকে শুরু করে যেকোনও অপরাধের মাধ্যমে অর্থ আয়, অর্থ পাচার ও বেআইনি লেনদেনকে সাধারণভাবে মানি লন্ডারিংয়ের আওতায় আনা হয়। আবার ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি পরিমাণের নগদ লেনদেন হলেও তা নগদ লেনদেন প্রতিবেদন (সিটিআর) হিসেবে বিএফআইইউতে পাঠাতে হয়। তবে সন্দেহজনক মানেই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, এমনটা নয়। আর সিটিআর কোনও অপরাধ নয়। এর মধ্যে অপরাধ থাকতেও পারে।
আরও পড়ুন-
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা বুধবার
/জিএম/টিআর/