চলতি অর্থবছর কৃষকরা ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ পাবেন

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক নীতিমালা ঘোষণা করছেন ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামানচলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৮) ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ  বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বার্ষিক নীতিমালা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার(২৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই নীতিমালা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। এ সময় বাংলাদেশে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নীতিমালায় বলা হয়েছে,  চলতি অর্থবছরে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক  ২০ কোটি ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) ৭২০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করবে। গত অর্থবছরে ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩৫ জনের মাঝে কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করা হয়েছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ  ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার।

এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষিঋণের কর্মসূচি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের বৈষম্য দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

প্রসঙ্গত,নীতিমালা অনুযায়ী, ‘বর্তমানে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ হারে কৃষি ঋণ পাবেন কৃষকরা। অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাত হিসেবে সব প্রকার কৃষি ও পল্লীঋণে নির্ধারিত সুদ ছাড়া অন্য কোনও  চার্জ, প্রসেসিং ফি ও মনিটরিং ফি ইত্যাদি ধার্য না করার নির্দেশনা । এ ছাড়া নীতিমালায় ব্যাংকগুলোর বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতে বিতরণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। মৎস্যসম্পদ খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণের পাশাপাশি মেয়াদি ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

/ জিএম/এমএনএইচ/