আসেম মিটিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী

‘পেপারলেস ট্রেডে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে’

ডব্লিউটিও’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ‘ইউএন-এসকাপ’ এর অধীন ‘ফ্রেম ওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন ফেসিলিটেশন অফ ক্রস বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া অ্যান্ড দি প্যাসিফিক’ এ গত ২৯ আগস্ট প্রথম দেশ হিসেবে স্বাক্ষর করেছে, বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়া ইউরোপ মিটিংয়ের (আসেম) সপ্তম ইকোনমিক মিনিস্টার্স মিটিংয়ের (ইএমএম) দ্বিতীয় প্লিনারি সেশনে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

আসেম মিটিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীবিশ্বব্যাপী দ্রুত ই-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে প্রায় ৮০ ভাগ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে ২০ ভাগ তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সেবা খাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এখন বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য ক্ষেত্রে সেবা প্রদানকারী অফিসগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি দফতরগুলোকে ই-গভর্নেন্সের আওতায় এনে পেপারলেস করা হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষতার সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্যে অবদান রাখতে বাংলাদেশ এখন প্রস্তত। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। দেশের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তথ্য প্রযুক্তিসহ বেশ কিছু খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং রফতানি বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

প্লিনারি সেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী ইউরো-এশিয়া কানেকটিভিটি: ই-কমার্স এবং ডিজিটাল ট্রেডের উপর বেশি গুরুত্ব দেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রীবাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ১৩ কোটি ৩২ লাখ মানুষ মোবাইল ফোন, প্রায় ৭ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে। দেশে প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান এ সেক্টরকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হচ্ছে এবং এ খাত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।’

কোরিয়ার ট্রেড, ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড এনার্জি বিষয়কমন্ত্রী উংউ পেইকের সভাপতিত্বে প্লেনারি সেশন-২ এ চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিনিস্টার কা চুয়ান অং। অন্যান্য আলোচকদের মধ্যে ছিলেন সুইডেনের মিনিস্টার অফ ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড অ্যাট দি মিনিস্ট্রি ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স এ্যান লিনডি, বেলজিয়ামের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার এবং ইমপ্লইমেন্ট, ইকোনমি, কনজিউমার রাইটস, ফরেন ট্রেড বিষয়কমন্ত্রী ক্রিস পিটার্সসহ প্রমুখ।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়েন এবং মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় করেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জুলফিকার রহমান এসময় বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।