মূল্যস্ফীতি বেড়েছে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে। এজন্য খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে আগামী তিন মাসে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে তার বিশ্বাস। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার পর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, (ডানে) পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (ছবি: ফোকাস বাংলা)মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘গত তিন মাসে বিশেষ করে খাদ্য খাতের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সমন্বয় ছিল না। সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছিল নানা কারণে। তবে আগামী কোয়ার্টারে মূল্যস্ফীতির এই হার কমে আসবে। চাহিদা আর জোগানেরও সমন্বয়ের উন্নতি হবে।’

প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে জুলাইয়ে ৫ দশমিক ৫৭, আগস্টে ৫ দশমিক ৮৯ ও সেপ্টেম্বরে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৩ ভাগ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণ পর্যায়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ ভাগ। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৫৩ ভাগ। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৯১ ভাগ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই হার ছিল ৭ দশমিক ১২ ভাগ।

জানা গেছে, গত তিন মাসে তার আগের তিন মাসের তুলনায় চাল, মাংস, শাক-সবজি, দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের দাম বেড়েছে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মধ্যে পরিধেয় বস্ত্র, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, বাড়িভাড়া, গৃহস্থালি আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদির দাম বেড়েছে।