ইইউ’র পরামর্শে সংশোধন হচ্ছে দেশের দুই শ্রম আইন


বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরামর্শ অনুযায়ী প্রচলিত শ্রম আইন ও ইপিজেড শ্রম আইন―এই দুটি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ দুটি আইনের সংশোধনের খসড়া তৈরি করে তা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওতে পাঠানো হবে। আইএলও থেকে ওই খসড়া অনুমোদন হয়ে এলে চূড়ান্তভাবে এ দুটি আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার।  
রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক (চুন্নু), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান,শ্রম অধিদফতরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ওই সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)বাংলাদেশের এ দুটি আইন আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়―এমন অভিযোগ তুলে আইন দুটি সংশোধনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে ইভিএ’র (এভরিথিং বাট আর্মস) আওতায় বাংলাদেশকে দেওয়া জিএসপি সুবিধা পর্যালোচনার বিষয়ে শ্রম সম্মেলনে এজেন্ডায় স্পেশাল প্যারা-৪ উপস্থাপন করে। এ পরিস্থিতিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরামর্শ মোতাবেক বিদ্যমান শ্রম আইন ও ইপিজেড শ্রম আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেন এবং এর জন্য সময় প্রার্থনা করেন। আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে শ্রম সম্মেলনে উপস্থাপিত স্পেশাল প্যারা-৪ প্রত্যাহার করে নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ওই সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পেশাল প্যারা- ৪ এর এজেন্ডা প্রত্যাহার করে না নিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর বাজারে বাংলাদেশের পণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে পাওয়া জিএসপি সুবিধা স্থগিত হয়ে যেতে পারতো।  
এরই ধারাবাহিকতায় সরকার রবিবার (২৯ অক্টোবর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রচলিত এ দুটি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিলো।