২০১৯ সালে জিডিপি ৮ শতাংশে উন্নীত হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (ফাইল ফটো)আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ না বাড়িয়েও প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যায়। এক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বাড়ানো গেলে ২০১৯ সালের মধ্যেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।’

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘রিভাইজিং অ্যান্ড রিভিশন অব জিডিপি: বাংলাদেশ পারেসপেকটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগ না বাড়িয়েও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কারণে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। রোবটিকস ও প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশুনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ক্ষেত্র বাড়াতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জিডিপির ভিত্তিবছর পরিবর্তন প্রয়োজন। কেননা এখন প্রযুক্তি, ই-কর্মাস, মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন নতুন বিষয় অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে। জিডিপির হিসাবে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও যুক্তরাজ্যের আলস্টার ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক এস আর ওসমানি। আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।

সেমিনারটি পরিচালনা করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম এবং সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম।

ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) আরও বেশি তৎপর এবং সময়যোপযোগী হতে হবে। সংস্থাটির ক্রুটি থাকলে তা দূর করা দরকার। পরিসংখ্যানের মান উন্নত করেই উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হবে। বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে হিসাবের মধ্যে আনতে হবে।’

ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তিনটি সারপ্রাইস হচ্ছে- জিডিপি প্রবৃদ্ধি অব্যাহতভাবে বাড়ছে, মাথাপিছু আয়ের তুলনায় মাতৃমৃত্যু হার কম এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ কম হলেও অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারুণ্যকে কাজে লাগাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।’

ড. ফরাস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরকার কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। এটা ভালো। এছাড়া পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) গুরুত্ব দিয়েছে। তবে বড় বড় শিল্পায়নের মাধ্যমে দারিদ্র নিরসন করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে গুরুত্ব দিতে হবে।’

ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘জনসংখ্যা শুধু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না, মান নিয়েও ভাবতে হবে। দারিদ্র বিমোচন এখনও অনেক বাকি রয়েছে। কিভাবে দারিদ্র ও বৈষম্য কমানো যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে।’

আরও পড়ুন:
বিকাশের ২৮৮৭ এজেন্টের খোঁজে সিআইডি