অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের বৈচিত্র্য আনা, জনসংখ্যার বোনাস কালকে ডেমোগ্রাফিক (ডিভিডেন্ড) কাজে লাগানো, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার গত ৯ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান বলেন, ‘বাংলাদেশে গত এক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে। কিন্ত একই সময়ে অসমতা বাড়ছে। আশানুরূপ কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। বেসরকারি বিনিয়োগের চিত্র সন্তুষ্ট হওয়ার মতো নয়। বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি অর্জন ও কর্মসংস্থানে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে নীতিতেও সংস্কার আনা জরুরি। পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, সেটিও কঠোর নজরদারিতে আনতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কিংবা জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আদায়ের হার বাড়াতে হবে বাংলাদেশকে। এর পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে কার্যকর করতে হবে।’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপোও তার বক্তব্যে বাংলাদেশে ধনী-দরিদ্রের অসমতা কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন জনসংখ্যার বোনাসকাল ভোগ করছে। এই সুযোগ একবারই আসে। বাংলাদেশকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে।’
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই ঝ্যাং বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চাইলে আঞ্চলিক যোগাযোগের কোনও বিকল্প নেই। আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে এডিবি সহযোগিতা দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতা দেওয়া হবে।’ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এজন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। নতুন নতুন প্রযুক্তির দিকে হাঁটতে হবে।’
অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম।