চুরি যাওয়া রিজার্ভের আরও ১২ লাখ ডলার ফেরত আসছে: গভর্নর



নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ফিলিপাইন থেকে চুরি যাওয়া রিজার্ভের আরও ১২ লাখ ডলার ফেরতের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। সোমবার(২৯ জানুয়ারী) বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের ৫ম তলার জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে তিনি এতথ্য জানান। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি সংবলিত ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট’ প্রকাশ করা হয়।
ফজলে কবির বলেন, ‘মোট চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ফেরত এসেছে ১৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এর বাইরে ৫০ মিলিয়ন ডলার ফেরত আসার বিষয়ে আদালতের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’ তিনি বলেন, ‘এক দশমিক ২ মিলিয় ডলার (১২ লাখ ডলার) বাংলাদেশ ব্যাংকে ফেরত আসার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া আরও ছয় মিলিয়ন ডলার আসার ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এই ছয় মিলিয়ন ডলার আনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিআইডির একটি দল আজ রাতে ফিলিপাইনে যাচ্ছে।’
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পাচার হওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ৪৬ লাখ ৩ হাজার মার্কিন ডলার এবং ৪৮ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ফিলিপিনো পেসো (মোট ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার) ফিলিপাইন আদালতের আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে গত বছরের ১০ নভেম্বর ফেরত দিয়েছে। এর আগে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই আরসিবিসি বাংলাদেশ ব্যাংককে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত দেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কা ও ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে। ঘটনার একমাস পর বিষয়টি বাংলাদেশ জানতে পারে ফিলিপাইনের একটি পত্রিকার খবরের মাধ্যমে। ওই সময় বিষয়টি চেপে রাখতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে গভর্নরের পদ ছাড়তে বাধ্য হন ড. আতিউর রহমান। বড় ধরনের রদবদল করা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষপর্যায়েও।