জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ফ্রিজের চাহিদা ব্যাপকহারে বাড়ছে। এই সময়ে দেশে প্রতিবছর প্রায় ২০-২২ লাখের মতো ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। এবার এই চাহিদা ২৫ লাখে পৌঁছবে বলেই ধারণা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। আর এই চাহিদার ৭২ শতাংশ এককভাবে পূরণ করার টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন।
ওয়ালটনের সেলস বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে ওয়ালটনের ফ্রিজ। প্রতিবছর ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ একাই পূরণ করে নিরঙ্কুশ প্রাধান্য বজায় রেখে চলেছে ওয়ালটন। চলতি বছরেও এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নতুন বছরের শুরু থেকেই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বৈচিত্র্যময় মডেলের ফ্রিজ যুক্ত করা হচ্ছে পণ্য সম্ভারে।’
ওয়ালটনের সেলস বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, ‘স্থানীয় বাজার চাহিদা বিশ্লেষণের আলোকে কারখানায় ফ্রিজ উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। বিপণনেও নেওয়া হয়েছে কৌশলগত পরিকল্পনা। গ্রাহক সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পণ্যমান যেমন বেড়েছে, তেমনি বিক্রয়োত্তর সেবাতেও এসেছে আধুনিকতা।’
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের শতাধিক বৈচিত্র্যময় মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, টেম্পারড গ্লাস ডোর, ডিজিটাল ডিসপ্লে, ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং ফ্রিজ আছে। এর মধ্যে রয়েছে ৮০ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ, ৩১ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ ও ১৪ মডেলের ডিপ ফ্রিজ এবং ১৬ মডেলের টেম্পারড গ্লাস ডোর ফ্রিজ।’
চলতি বছর ফ্রস্ট ফ্রিজে নতুন যুক্ত হয়েছে ২৯টি মডেল, টেম্পারড গ্লাস ডোরের নতুন মডেল ৯টি, নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের নতুন মডেল ৮টি। এছাড়াও পাশাপাশি দুই দরজা’র ৫০১ লিটারের রেফ্রিজারেটর, ৩২৮ লিটারের ডিজিটাল ডিসপ্লে ও ফাইভ স্টার সনদ প্রাপ্ত ৩২৮ লিটারের দুটি নতুন মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর।
উল্লেখ্য, গত বছর স্থানীয় বাজারে প্রায় ১৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল ওয়ালটনের। ২০১৬ সালে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় ৪৪ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল। বিক্রির এই ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির আলোকে চলতি বছর ১৮ লাখ ইউনিট ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সেভেন রিংস্ সিমেন্টের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত