এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো—‘ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণ।’
সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় সংসদে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। বাজার অভিযানের মাধ্যমে ভোক্তাদের স্বার্থবিরোধী কাজের জন্য অভিযুক্তদের জেল-জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গত ৮ বছরে দেশব্যাপী বাজারে বিপুল-সংখ্যক অভিযান চালানো হয়েছে, জেল-জরিমানা করা হয়েছে। সচেতনতার মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পরিশোধ করা হচ্ছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুস্পর্ক রেখেই সবধরনের আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে এখন আর কোনও খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। খাদ্যে ভেজাল মিশানোর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ভোক্তার অধিকার সুরক্ষা না হলে অভিযোগ পাওয়ামাত্র গুরুত্বসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সে কারণেই ভোক্তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও সচেতন হচ্ছেন। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে অভিযোগ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সঙ্গত কারণে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে। ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঢাকার পাশাপাশি বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন পেশার মানুষের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে কাজ করা হচ্ছে। ফলে দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।’
দিবসটি উপলক্ষে সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর থেকে সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি মিলনায়তন পর্যন্ত র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।