রডের দাম কমবে আরও একহাজার টাকা

রডরডের মূল্য টনপ্রতি আরও একহাজার টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্টিল ও রি-রোলিং শিল্প মালিকরা। তারা জানিয়েছেন, সরকারের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তার অঙ্গীকার হিসেবে এ দাম কমানো হলো।  বাজারে এমএস রড, এমএস অ্যাংগেল ও সিমেন্টের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে (৪ এপ্রিল) শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্র সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা এ ঘোষণা দেন।  

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাণিজ্য, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্যারিফ কমিশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, বিএসইসি, ক্যাব ও স্টিল ও রি-রোলিং মিল সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাজারে এমএস রড, এমএস অ্যাংগেল ও সিমেন্টের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে রডের মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের অবমূল্যায়ন, পরিবহন খরচ ও ট্যারিফ বৃদ্ধি ও বন্দরের সমস্যার কারণে দেশের বাজারে এমএস রড, এমএস অ্যাংগেল এবং সিমেন্টের মূল্য বেড়েছে। এছাড়া কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির ফলেও বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তারা এসব পণ্যের আমদানি খরচ কমাতে বন্দর থেকে সরাসরি পণ্য খালাসের দাবি জানান।

শিল্পসচিব বলেন, ‘মেগা প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর সরকারের উন্নয়ন অভিযাত্রা জোরদারের বিষয়টি নির্ভর করছে।’ তিনি বলেন, ‘এমএস রড, এমএস অ্যাংগেল ও সিমেন্ট অবকাঠামো নির্মাণের মৌলিক কাঁচামাল। এসব পণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সবধরনের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। বন্দর থেকে সরাসরি কাঁচামাল আমদানির বিষয়ে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ শিল্পের অন্যান্য সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।’

উল্লেখ্য,  ইতোপূর্বে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে স্টিল ও রি-রোলিং শিল্প মালিকরা টন প্রতি রডের মূল্য দুই হাজার টাকা কমিয়েছিলেন। বুধবার শিল্পসচিবের সঙ্গে আয়োজিত সভায় টন প্রতি একহাজার টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়ায় বাজারে রডের দাম টন প্রতি তিন হাজার টাকা কমবে।