সিন্ডিকেটের কারণে রডের দাম বাড়েনি, দাবি প্রস্ততকারকদের

রডের দাম নিয়ে প্রস্তুতকারকদের সংবাদ সম্মেলন 

রডের দাম সিন্ডিকেটের কারণে বাড়েনি বলে দাবি করেছেন রড প্রস্ততকারকদের তিনটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি করেন বাংলা অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রডের দাম বাড়ার কিছু কারণ তথ্য-উপাত্তসহ তুলে ধরেন। বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, রডের কাঁচামাল আমদানিতে স্ক্র্যাপের দাম প্রতি টনে ৩১২ ডলার থেকে ৪২৭ ডলার বেড়েছে। কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে ডলারের মূল্য ৮০ টাকা থেকে ৮৪ টাকা করা হয়েছে। প্রতি ডলারে ৪ টাকা বাড়ায় টন প্রতি আমদানি খরচ বেড়েছে ১৭০৮ টাকা। এছাড়া কাঁচামালের মধ্যে কেমিক্যাল আছে যা প্রতি টনে স্পঞ্জ আয়রন ১৫১৯ টাকা ও ফেরো অ্যালয়েজ ৪৭০ টাকা।

তিনি আরও বলেন, এর পাশাপশি চট্টগ্রাম বন্দরে ভ্যাসেল হতে সরাসরি ডেলিভারি না দিয়ে পণ্য অফডেকে স্থানান্তরের কারণে চার্জ বেড়েছে ৩২০ টাকা থেকে ১০০৮ টাকা। এখানে প্রতি টনে ব্যয় বেড়েছে ৬৮৮ টাকা। প্রয়োজনীয় ট্রেইলার না থাকায় কন্টেইনার ফেরতে বিলম্বের কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে ৩০০ টাকা। এছাড়া সরকার এক্সেল লোড আইন প্রবর্তনের কারণে প্রতি টনে খরচ বেড়েছে ৪৮০ টাকা। ২০১৭ সালের জুলেই মাসে যেই ট্রেইলারের ভাড়া ছিল ২৬ হাজার টাকা তা বেড়ে হয়েছে ৩৮ হাজার টাকা।

এছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো, ব্যাংকের সুদের হারও রডের দাম বাড়ানোর অন্যতম কারণ বলে জানান তিনি।

রডের দাম বাড়ানোর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে সরকার কর্তৃক এক্সেল লোড আদেশ স্টিল শিল্পের ক্ষেত্রে শিথিল করা, অফডক এ স্টিল পণ্য না পাঠিয়ে সরাসরি পোর্ট হতে ডেলিভারি দেওয়া, কাঁচামাল স্ক্র্যাপের ওপর সিডি ১৫০০ থেকে কমিয়ে ৫০০ এবং এআইটি ৮০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা করা, কেমিক্যালের ওপর আরোপিত এআইটি ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১২০০ টাকা এবং ৫ শতাংশ আরডি প্রত্যাহার করা, ব্যাংক সুদের হার হ্রাস করা এবং অব্যাহত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।