করের আওতায় আসছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিকেরা: এনবিআর চেয়ারম্যান




সিএনজি অটোরিকশাআগামী বাজেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করাসহ তাদের করের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।



মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘দীর্ঘ সময় থেকে পরিবহন বাণিজ্য করে আসলেও কর দেন না সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিকেরা। এতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স থাকা উচিত। অনেকেই বলছেন, বাস-ট্রাককে কীভাবে আমরা করের আওতায় আনতে পারি। আগামী বাজেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স ও ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে হতে যাচ্ছে। সবাই বলে এটা কমান, ওটা কমান। অনেককেই আবার আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। পরিবহন ব্যবসার পাশাপাশি অন্য একটা ব্যবসা দেখিয়ে যাতে কর ফাঁকি দেওয়া না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।’ কীভাবে পরিবহন খাতে কর বাড়ানো যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কসপ মালিক সমিতি, ফোর স্ট্রোক সিএনজি অটোরিকশা অ্যান্ড ফ্রি হুইলার্স মটরবাইক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠন এ আলোচনায় অংশ নেয়।
সভায় ফোর স্ট্রোক সিএনজিচালিত অটোরিকশা অ্যান্ড ফ্রি হুইলার্স মটরবাইক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. আনসার আলী বলেন, ‘সিএনজি অটোরিকশা মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। পাশাপাশি মালিকদের করের আওতায় আনা উচিত। একইসঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে অ্যাপভিত্তিক সেবায় আসতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাধ্যতামূলক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়া ও সনদপত্র থাকতে হবে। ৩২ হাজার বেবি ট্যাক্সি ছিল, বর্তমানে ২০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা আছে।’ এখন এই খাতের ১২ হাজার লোক বেকার বলেও জানান তিনি।