কালো টাকা উদ্ধারে কমিশন গঠনের প্রস্তাব অর্থনীতি সমিতির

অর্থনীতি সমিতির প্রাক-বাজেট প্রস্তাব অনুষ্ঠানদেশে পুঞ্জীভূত কালো টাকার পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ কোটি টাকা বলে মনে করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। এই কালো টাকা থেকে  কালো টাকা উদ্ধারে একটি কার্যকর কমিশন গঠন করে আগামী বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারের প্রস্তাব করা হয় সমিতির পক্ষ থেকে। শনিবার (২৬ মে) দুপুরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় এই দাবি তুলে ধরে অর্থনীতি সমিতি।  

অর্থনীতি সমিতির পক্ষ থেকে আগামী অর্থবছরের জন্য ১২ লাখ ১৬হাজার ৪০০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেটের আড়াই গুণ বেশি। বাংলাদেশ অর্থনীতির সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ৯ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া সম্ভব। কারণ দেশে কম করে হলে ১ কোটি টাকা কর দিতে সক্ষম এমন মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজার রয়েছে। উদ্যোগ নিয়ে তাদের সবাইকে করের আওতায় আনলে শুধু  তাদের কাছ থেকেই বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২লাখ ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আর রাজস্ব প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। বাকি যে ২ লাখ ২৫হাজার ৫৮০ কোটি টাকা অনেক বড় ঘাটতি আছে। এ বিষয়ে অনর্থক কোনও তর্কে না জড়িয়ে আমরা বলতে চাই, যদি কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণে ঘাটতি বাজেটে অসুবিধা থাকে, সেক্ষেত্রে বাজেটে ১ পয়সা ঘাটতি না রেখে আমাদের প্রস্তাবিত রাজস্ব আয় দিয়েও মোট বাজেট প্রস্তুত করা যায়।’

এর আগে প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে নিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ।