এরই আগে মঙ্গলবার গ্যাটস-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারকারীর হার ৮ শতাংশ কমেছে। এছাড়া, ধূমপায়ী ও ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার কমেছে যথাক্রমে, ৫ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের উপস্থিতিতে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে তামাক ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর পরিমাণ ৩ কোটি ৭৮ লাখ। এর হার ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে ধূমপায়ীর হার ১৮ শতাংশ (১ কোটি ৯২ লাখ) ও ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার ২০ দশমিক ৬ শতাংশ (২ কোটি ২০ লাখ)।
গ্যাটস-এর এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সার্বিকভাবে, এই ফল প্রশংসনীয় ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে উল্লেখযোগ্য। তারপরও বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু দুর্বলতা রয়েছে। কার্যকর তামাক-নীতির অভাব ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন না হওয়ায় তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অর্জন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আরও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, বৈদেশিক বিনিয়োগ আনার নামে জাপান টোব্যাকো (জেটি) গ্রুপকে বাংলাদেশে সরাসরি ব্যবসার সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো পণ্যের বৈচিত্র্য ও আগ্রাসী বিপণন কৌশল অবলম্বন করে দ্রুত স্থানীয় বাজার দখল করে নেয়, বিশেষ করে তরুণ সমাজ এতে আকৃষ্ট হয় বেশি। বাংলাদেশে বর্তমান মোট জনগোষ্ঠীর ৩১ শতাংশই তরুণ। সুতরাং দেশে নতুন করে তামাক ব্যবসার সুযোগ দিলে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের এই অর্জন নস্যাৎ হয়ে যাবে। এতে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।