X
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ই-সিগারেটের প্রচারণায় তামাক কোম্পানি, বিক্রির দোকান বেড়েছে ৭৮ শতাংশ

গোলাম মওলা
০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১০:০০আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:৫১

আমদানির অনুমতি না থাকলেও দেশে ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেটের (‘ভ্যাপিং ডিভাইস’ বা ‘ভ্যাপ পেন’)  ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দেশে ই-সিগারেটের বাজার সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর নানান কৌশল নিয়ে করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—গত ৫ বছরে এই ক্ষতিকর ই-সিগারেটের বিক্রির দোকান বেড়েছে ৭৮ শতাংশ।

বিভিন্ন দোকানে সরেজমিনের পাশাপাশি ঢাকা নগরীতে খুচরা বিক্রেতা ৫০টি ই-সিগারেটের দোকানের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। এছাড়া ই-সিগারেট বিক্রির বিভিন্ন অনলাইন সাইট পর্যালোচনা করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ই-সিগারেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) কর্মকর্তারা অনুমান করছেন, সংখ্যাটি ইতোমধ্যে আরও অনেক বেড়েছে। ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক যুবক।

প্রতিবেদনে ৫০টি দোকানে একটি জরিপ চালানো হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪০টির বেশি দোকান ই-সিগারেট বিক্রি শুরু করেছে পাঁচ বছরের কম সময়ের মধ্যে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, দেশে ই-সিগারেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়া শুরু হয়েছে মূলত ২০১৬ সাল থেকেই।

গবেষণাটির বিষয়ে ইন্টারপ্রেস নেটওয়ার্ক-আইপিএনের গবেষক এহসানুল হক জসিম বলেন, বাংলাদেশে ই-সিগারেট আগমনের প্রথম পাঁচ বছরে যে পরিমাণ দোকান চালু হয়েছিল, তারপরের পাঁচ বছরে প্রায় চারগুণ ই-সিগারেট বিক্রির নতুন দোকান চালু হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আমরা গবেষণায় দেখেছি—ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) ছাড়াও বড় বড় তামাক কোম্পানিগুলো ই-সিগারেট বাজারজাত ও প্রচারণায় রয়েছে। তিনি দাবি করেন, ই-সিগারেটের পক্ষে এই কোম্পানিগুলোর প্রচারণা বন্ধ না হলে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।

তামাকবিরোধী সংগঠনসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর ও চিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশে ই-সিগারেট ও এর বিভিন্ন উপাদান উৎপাদিত না হলেও এর আমদানি-বিপণন নিষিদ্ধ নয়। বিভিন্ন বয়সী মানুষ বিশেষ করে তরুণরা ই-সিগারেটকে অনেকটা ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করছে। সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেটে ঝুঁকছেন অনেকে। মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন ভ্যাপিংয়ে আসক্ত ব্যক্তিরা।

আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্যা ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ই-সিগারেট আগে শুধু রাজধানী বা শহরগুলোতে পাওয়া যেতো। এখন সেটা শহর থেকে উপজেলা বা গ্রাম পর্যায়েও পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, দ্রুত আইন করে ই-সিগারেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন—সিগারেটের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে ই-সিগারেট ব্যবহার করা হয়- কথাটি ঠিক নয়। ই-সিগারেটে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সিগারেটের চেয়ে বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ই-সিগারেট বাংলাদেশে আসার পর প্রথম দিকে ঢাকার অভিজাত এলাকায় কেবল কিছু দোকান ছিল। কিন্তু এখন ঢাকার সবখানে এবং সারা দেশে, এমনকি মফস্বল এলাকায়ও ই-সিগারেটের দোকান রয়েছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো তার গ্রাহকদের বিবরণ নিবন্ধন করে ই-সিগারেটের ব্যবসা চালাচ্ছে। যারা প্রথমবারের জন্য ই-সিগারেটের "ভিইউএসই" ব্রান্ডের একটি পণ্য কিনে, তাদের কাছ থেকে নাম-ঠিকানা, ইমেইল ও ফোন নম্বর নেওয়া হয় এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য তালিকায় যুক্ত করা হয়। পরে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে বিভিন্ন অফার ও ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গটি তুলে এহসানুল হক জসিম বলেন, গবেষণার প্রয়োজনে আমরা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর "VUSE"  ব্রান্ডের পণ্য কিনেছিলাম। এই পণ্য কিনে আমরা ডিসকাউন্ট পেয়েছি। তিনি জানান, সাড়ে তিন হাজার টাকার একটা পণ্যে ছাড় দেওয়া হয় প্রায় এক হাজার টাকা, যা ৩০ শতাংশের বেশি।

রাজধানীর ৫০টি দোকানের সমীক্ষার তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দোকানগুলোর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ পাওয়া গেছে যারা পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় ধরে ই-সিগারেট বিক্রি করছে। বাকি ৭৮ শতাংশ ই-সিগারেটের দোকান গত পাঁচ বছর বা তার কম সময়ে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো "দি গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস)” ২০১৭ রিপোর্ট অনুযায়ী ই-সিগারেট ব্যবহারকারী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ০.২%। এছাড়া ঢাকা আহছানিয়া মিশনের জরিপে ই-সিগারেট ব্যবহারকারী অধিকাংশই জানিয়েছেন, তারা প্রচলিত সিগারেট ত্যাগ করতে সাহায্য করবে মনে করে এটি ব্যবহার করেন এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য কম ক্ষতিকর বলেও মনে করে থাকেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের বাজারে অন্তত ৩২টি ব্র্যান্ডের ই-সিগারেট পাওয়া যাচ্ছে। এদের অধিকাংশই গত তিন বছরে বাংলাদেশের বাজারে আনা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অল্প বয়সীদের অনেকে যারা কখনও ধূমপান করেনি তাদেরও একটি অংশ এখন ভ্যাপ গ্রহণ করছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে ই-সিগারেট বা এই জাতীয় পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ।

মাঠ পর্যায়ের জরিপে অংশ নেওয়া বিক্রেতাদের ৯৫ শতাংশ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা তাদের ই-সিগারেট পণ্যের প্রধান গ্রাহক।

ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেও এই সিগারেট বিক্রি চলছে। গবেষণায় জনপ্রিয় অংশগ্রহণকারী ৮০ শতাংশ বিক্রেতা জানিয়েছেন, তারা তাদের ই-সিগারেট ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উভয়ই ব্যবহার করে থাকেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা মহানগরের বেশিরভাগ দোকানেই ই-সিগারেটের জন্য হোম ডেলিভারি সার্ভিস দেওয়া হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯০ শতাংশ ই-সিগারেট বিক্রেতা বলেছেন, সারা দেশে তাদের অনলাইন হোম ডেলিভারি সার্ভিস রয়েছে। মাঝে মাঝে তারা ডিসকাউন্ট এমনকি বিনামূল্যে হোম ডেলিভারির অফার দিয়ে থাকেন। দেশব্যাপী সংগঠিত নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু করা হয়।

জরিপে অংশ নেওয়া অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ফেসবুকের একটি গ্রুপের মাধ্যমে ই-সিগারেট সম্পর্কে জেনেছেন। নবম শ্রেণিতে ওঠার পর তারা তিন বন্ধু মিলে ই-সিগারেটের একটি ডিভাইস কেনে।

সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে ওঠা একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ই-সিগারেটের পক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। প্ল্যাটফর্মটি ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর এক ওয়েবিনার আয়োজন করে, সেখানে বক্তারা বলেন ই-সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

ঢাকা মহানগরীতে ৩৯টি আউটলেটের সন্ধান পাওয়ার কথা উল্লেখ করে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এগুলোর সবকটি পরিচালনা করছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মতো জাপান ইন্টারন্যাশনালও বাংলাদেশে ই-সিগারেটের বাজার তৈরি করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, ই-সিগারেটের প্রচারণা বাড়াতে বিভিন্ন উৎসব বা ফেস্টিভ্যাল করা হয়ে থাকে—‘ভ্যাপিং উৎসব’ এরমধ্যে একটি। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সহায়তায় ঢাকায় একটি ভ্যাপিং ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও মালয়েশিয়া থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের ই-সিগারেট পণ্য আসে। আমদানি করা ভ্যাপ পণ্যগুলোর বেশিরভাগই আসে চীন থেকে।

এখন নিম্ন আয়ের পরিবারের যুবকদের মধ্যেও ই-সিগারেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে ই-সিগারেটের বাজার সম্প্রসারণে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি), জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জিটিআই) এবং এই জাতীয় শীর্ষস্থানীয় তামাক কোম্পানির কৌশল, কূটকৌশল, পরিকল্পনা ও কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে ই-সিগারেটের কথা উল্লেখ না থাকায় তামাক শিল্প বিভিন্ন কূটকৌশল প্রয়োগ করে ই-সিগারেট ব্যবসার বৈধতা পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে নিয়েছে এবং দেশে ই-সিগারেটের অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড আমদানি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং স্টেশনারি দোকানগুলোতে এই ভ্যাপ পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো পর্দার অন্তরালে থেকে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়ে খুচরা পর্যায়ে সিগারেট বিক্রি করছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকাংশ ই-সিগারেট পণ্যে নিকোটিনসহ বিষাক্ত রাসায়নিক এবং পদার্থ রয়েছে, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। ই-সিগারেট কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি এবং গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বিকাশের ওপর বিরূপ প্রভাবের কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের সঙ্গে ই-সিগারেটের ব্যবহারের ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি পাঁচগুণ বাড়ে।

মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা ‘মানস’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ই-সিগারেটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এ সংখ্যা বেশি। অথচ সিগারেটের মতোই ই-সিগারেটেও ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করা হয়।

ই-সিগারেটের ক্ষতির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেট আরও বেশি ক্ষতিকর বলে মনে করি। সিগারেটের নিকোটিন ই-সিগারেটের মতো সরাসরি নিচে নামে না। ফলে এটার ক্ষতি আরও বেশি। এতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

/এমএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
তামাক কর বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ তরুণের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার বিকল্প নেই
তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি
সর্বশেষ খবর
প্রথম দুই ঘণ্টায় গড়ে ভোট পড়েছে ৭ শতাংশ
প্রথম দুই ঘণ্টায় গড়ে ভোট পড়েছে ৭ শতাংশ
দুই ঘণ্টায় ৬৬ ভোট
দুই ঘণ্টায় ৬৬ ভোট
ভোটারের অপেক্ষায় কুমিল্লার একটি কেন্দ্র
ভোটারের অপেক্ষায় কুমিল্লার একটি কেন্দ্র
অবশেষে অজিদের হয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন ফ্রেজার ম্যাকগার্ক 
অবশেষে অজিদের হয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন ফ্রেজার ম্যাকগার্ক 
সর্বাধিক পঠিত
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, জানালেন ওবায়দুল কাদেরঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে
ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহতের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া
ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহতের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া
ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিহত হলেন যারা
ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিহত হলেন যারা
পাউবোর দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পাউবোর দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
‘বাংলাদেশ দলে খেলতে না পারলে আমি মরে যাবো না’
‘বাংলাদেশ দলে খেলতে না পারলে আমি মরে যাবো না’