প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আমদানি নির্ভরতা হ্রাস, রফতানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগসহ দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তার কাছ থেকে সেরা রফতানিকারকের পুরস্কার গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে ওয়ালটন পণ্য বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।’
রফতানি আয়ের পরিমাণ, রফতানিকৃত দেশের সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা, সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিচালন নীতি ও কিছু গুণগত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিচারকেরা বিজয়ী প্রতিষ্ঠান বাছাই করেছেন বলে জানিয়েছে এইচএসবিসি।
এদিকে ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ জয়ের পরদিন ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশ মাস্টার ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডস জিতেছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। গ্লোবাল মার্কেটিং ও ব্র্যান্ড গবেষণাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘সিএমও এশিয়া’ এটি প্রদান করেছে। বাংলাদেশের ইলেক্ট্রিক্যাল ইলেক্ট্রনিক্স, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ালটনকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম জানিয়েছেন— এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার পর ওয়ালটনের টার্গেট এখন ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের শীর্ষ বাজার। এজন্য ঢেলে সাজানো হয়েছে ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগ। এতে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববাজারের অভিজ্ঞ বিপণন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণা ও মান নিয়ন্ত্রণে অধিক জোর দেওয়ার পাশাপাশি ওয়ালটনের কারখানায় যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ।