বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আরও বাড়বে

 

‘বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারবৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের ‘বেকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি’র সম্ভাবনা আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু। তিনি বলেন, ‘চীনের সানসেট ইন্ডাস্ট্রিকে স্থানান্তরের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে উপযোগী গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপনের জন্য বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন, মানব সম্পদের দক্ষতা বাড়ানো ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতের ওপর গুরুতারোপ করতে হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।’

‘বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। শনিবার (১৭ নভেম্বর) ডিসিসিআইতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট এই আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বৈশ্বিক বাজারে ১০ শতাংশ কমে যাওয়ায় আমাদের উদ্যোক্তারা কম খরচে তৈরি পোশাক উৎপাদনের সুযোগ পাবেন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এ বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জিডিপির ০.৮১ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বৈশ্বিক মন্দা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।’

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু। বিশেষ অতিথি ছিলেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য।

ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, লাওস এবং শ্রীলংকা থেকে আমদানি পণ্যের ওপর চীন শুল্কারোপ করেছে।’