বাংলাদেশে এখন জনমিতিক লভ্যাংশ কাল চলছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রীর দফতরে ব্রিটিশ সরকারের বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি প্রতিনিধিদল

‘বাংলাদেশে এখন জনমিতিক লভ্যাংশ (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) কাল চলছে, যা ২০৬১ সাল পর্যন্ত থাকবে। দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন ট্রেড প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বিনিয়োগ সহজতর ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে বিভিন্ন বাধাকে সরকার অপসারণ করে যাচ্ছে।’

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সরকারের বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি প্রতিনিধিদল পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে তার দফতরে সাক্ষাৎ করতে এলে পরিকল্পনামন্ত্রী ট্রেড কমিশনারকে এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যবিষয়ক প্রতিনিধি দলের সামনে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির সব দিক তুলে ধরেন।

ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ট্রেড কমিশনার ক্রিসপিন সিমন। এ ছাড়া, ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার আলিসন ব্লেক।

এসময় ক্রিসপিন সিমন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের ব্যক্তি খাতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সরকারের বাণিজ্য নীতি এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গৃহীত পরিকল্পনারও তিনি প্রশংসা করেন। নিয়মিত সাত শতাংশের উপর প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় পরিকল্পনা মন্ত্রীকে তিনি অভিনন্দনও জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি শিক্ষা, রেল এবং বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাজ্যের ব্যক্তি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ট্রেড কমিশনার পরিকল্পনামন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন, তিনি ফিরে গিয়ে যুক্তরাজ্যের ব্যক্তিখাতেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা জানাবেন। শিক্ষা, রেলওয়ে এবং বিদ্যুৎ খাতে, বিশেষ করে, সোলার পাওয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন তিনি।