মুহিতের রেখে যাওয়া জায়গা থেকে কাজ শুরু করবো: অর্থমন্ত্রী

সাবেক অর্থমন্ত্রীকে বিদায়ী শুভেচ্ছা ও নতুন অর্থমন্ত্রীকে স্বাগতম অনুষ্ঠান সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অত্যন্ত ভালো মানুষ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘মুহিত ভাই সৎ, যোগ্য ও দক্ষ মানুষ। মন্ত্রণালয় পরিচালনায় যখনই প্রয়োজন হবে আমি তার কাছে যাবো। তিনি বিদায় নেওয়ার আগে বলেছিলেন, আগামীতে যিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে আসবেন তার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা রেখে যাবেন। আমি তার কর্মকাণ্ড অনুসরণ করবো। তার রেখে যাওয়া জায়গা থেকেই কাজ শুরু করবো।’

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কনফারেন্স কক্ষে ‘সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বিদায়ী শুভেচ্ছা ও নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে স্বাগতম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এনবিআরকে নিয়ে মুহিত ভাইয়ের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে গত ১০ বছরে ৫৪ হাজার কোটি টাকা থেকে এখন রাজস্ব আদায় ৩ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের স্বপ্ন এখন ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। গত ১০ বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৫৪৩ ডলার থেকে ১৭০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। এসব কারণে গত ১০ বছরে ১৭টি দেশকে পেছনে ফেলে ৫৮তম দেশে থেকে ৪১তম দেশে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে জি-২০ সামিট চলছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেখানে আমন্ত্রণ পায়নি। তবে ২০৪১ সালে আমরা সেখানে আমন্ত্রণ পাবো, সেজন্য সেই কাজটি করতে হবে। মুহিত ভাই যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণ করবো।

সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রসঙ্গে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুহিত ভাই আমার প্রিয় মানুষ। তিনি সকলের প্রিয় মানুষ। সবার মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি তার কাজ যেভাবে করার সেভাবে করেছেন। তিনি মাঝে মধ্যে অপ্রিয় সত্য কথা বলে ব্যাপক আলোচনায়ও এসেছেন।’

বাজেট কর্মপরিকল্পনায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকতে চান মুহিত

এদিকে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার বক্তব্যে আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট কর্মপরিকল্পনায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে করদাতা এবং রাজস্ব আহরণ এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আসেনি। এজন্য বেশ কিছু পরামর্শও দেন তিনি।
কর আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানো যেতে পারে মন্তব্য করে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দশ বছর আগে ভয়ঙ্কর রকমের জনবিচ্ছিন্ন ছিল কর প্রশাসন। তবে এখন সময়ে বদলেছে। বিশ্বে সবচেয়ে কম কর আদায় হয় বাংলাদেশে।