বাণিজ্যমন্ত্রী-ইইউ রাষ্ট্রদূত বৈঠক

তৈরি পোশাক খাতকে নিরাপদ রাখতে আরসিসিকে শক্তিশালী করার প্রত্যয়

 

 

বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়নবাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো নিরাপদ ও কর্মবান্ধব রাখতে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি)-কে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক দেশের প্রায় সব কারখানা ইন্সপেকশন শেষ হয়েছে। এগুলো সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য তদারকি চলছে। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কার্যক্রমের পর যাতে দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো নিরাপদে পরিচালিত হয় সে জন্য বাংলাদেশ সরকার আরসিসি গঠন করেছে। এখানে দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল রয়েছে। তৈরি পোশাকের ক্রেতাগোষ্ঠী এতে সন্তুষ্ট।


বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিংয়ের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এভরিথিংস বাট আর্মস (ইবিএ)-এর আওতায় বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ এতে উপকৃত হচ্ছে। ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করা হবে। বাংলাদেশ ‘এলডিসিৎ থেকে ‘উন্নয়নশীল দেশে’ পরিণত হওয়ার পর ইইউ বাংলাদেশকে দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন প্রায় ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে রফতানি করছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি ‘স্পেশাল ইকনোমিক জোনে’ বিনিয়োগে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানে বিনিয়োগ করলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা বেশি লাভবান হবেন।”
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিং বলেন, ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংরাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে বাণিজ্য করছে। উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আরও বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশে বিনিয়োগও করতে চায় ইইউ ব্যবসায়ীরা। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। বাংলাদেশ সরকারকে সেসব জটিলতার অবসান ঘটাতে হবে। তৈরি পোশাক কারখাগুলোকে নিরাপদ রাখতে আরসিসিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিষয় ক্রেতারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। বাংরাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর অনেক উন্নতি হয়েছে। শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। এখানে অনেক গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে।’
এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ, মো. শফিকুল ইসলাম, বদরুল আহসান বাবুলসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।