এলএনজি এসেছে জাতীয় গ্রিডে

মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রে স্থাপিত এলএনজি টার্মিনাল। (ছবি: এক্সিলারেট এনার্জি’র ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া)

প্রথমবারের মতো আমদানি করা তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি  এলো জাতীয় গ্রিডে। সোমবার থেকে পুরোদমে এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছে পেট্রোবাংলা। রাতে পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস সরবরাহ রিপোর্টে বলা হয়েছে, সোমবার ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলা বলছে, ৩২০-৩৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চট্টগ্রামের জন্য রেখে বাকি গ্যাস ঢাকায় দেওয়া হচ্ছে। গত আগস্ট থেকে দেশে এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়। এখন ঢাকাসহ দেশের অন্য এলাকার মানুষও এলএনজির সুফল পেতে শুরু করবে। গত আগস্ট থেকে এককভাবে চট্টগ্রামেই এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছিলো।

ঢাকা এবং এর আশেপাশের এলাকার গ্যাস ঘাটতি এর ফলে কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস উৎপাদন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে দেশে সোমবার দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রে থেকে সোমবার ২ হাজার ৬৭৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর বাইরে আরও ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হয়। যার ফলে সোমবার দেশে মোট গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৬০ মিলিয়ন ঘনফুট।

গত শনিবার থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরুর কথা থাকলেও রবিবার পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ শুরু করা হয়। তবে তা ছিল একেবারেই কম, মাত্র ৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। কিন্তু সোমবারই পুরোমাত্রায় এলএনজি সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরুর কথা থাকলেও রবিবার পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ শুরু করা হয়। তবে তা ছিল একেবারেই কম মাত্র ৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। কিন্তু সোমবারই পুরোমাত্রায় এলএনজি সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

রিগ্যাসিফিকেশন টার্মিনালটির ক্ষমতা দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলেও দৈনিক ৪৬৫ মিলিয়ন ঘনঘুট করে টার্মিনালটি রিগ্যাসিফিকেশন করতে পারে।