পিপিপি’র মাধ্যমে বিটিএমসির বন্ধ মিল চালু হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

সভায় কথা বলছেন গোলাম দস্তগীর গাজী

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) বন্ধ টেক্সটাইল মিলগুলো পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে পুনরায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাওরানবাজারে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি) ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিটিএমসির টেক্সটাইল মিলগুলো সরকারি সহায়তায় বা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে চালু করে টেক্সটাইল পল্লি গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে, দেশের বেকার সমস্যার সমাধান হবে। বিগত জোট সরকারের সময়ে দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি ছিল। কিন্তু এখন বিদ্যুতের কোনও অভাব নেই। ‍অর্থাৎ নতুন শিল্পাঞ্চল চালু করতে হলে যে বিদ্যুতের দরকার, দেশে তার কোনও ঘাটতি নেই। সর্বোপরি বন্ধ মিলগুলো পুনরায় চালু করে শিল্পায়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অব্যবহৃত কোনও জমি ফেলে রাখা চলবে না। যতো বেশি জমি ব্যবহৃত হবে, দেশ ততো উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, নতুন নতুন শিল্প কারখানা সৃষ্টি হচ্ছে। গার্মেন্টস খাত অনেক এগিয়েছে, সামনে আরও এগিয়ে যাবে। এ ছাড়া, পিপিপির মাধ্যমে নতুন টেক্সটাইলগুলো কীভাবে আরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালু করার ব্যবস্থা করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য সরকার  ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতা দরকার।’

দুর্নীতি প্রসঙ্গে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি দেশের উন্নতিকে ভঙ্গুর করে দেয়। সবার মনে রাখতে হবে, দুর্নীতি সমাজকে নষ্ট করে দেয়। কোনও ধরনের দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। যারা দুর্নীতি করবে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। তাই দুর্নীতিবাজদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, দুর্নীতির স্থান নেই। কাজ করতে হবে দেশের জন্য, উন্নয়নের জন্য।’

উল্লেখ্য, এপর্যন্ত বিটিএমসির ১৬ মিলকে পিপিপির মাধ্যমে চালু করার জন্য তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২টি মিল পিপিপির মাধ্যমে চালু করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে; বাকি মিলগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন– বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, বিটিএমসির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ প্রমুখ।