পায়রাবন্দরের ‘ডিটেইল মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়নে পরামর্শক নিয়োগে চুক্তি সই

IMG_20190214_110228পায়রাবন্দরের উন্নয়নের লক্ষ্যে সঠিক কৌশলগত পরিকল্পনা ও ডিটেইল মাস্টার প্লান প্রণয়নের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দুটি হলো নেদারল্যান্ডসের রয়েল হাসকনিং ডিএইচভি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যিালয়ের গবেষণা, পরীক্ষা ও পরামর্শক ব্যুরো (বিআরটিসি)।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র সই হয়েছে।

পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআরটিসি, বুয়েটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক এবং রয়েল হাসকনিংয়ের স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ডাইরেক্টর এরিক স্মিট নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারউইজ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ডিটেইল মাস্টার প্ল্যানসহ অন্যান্য রিপোর্ট প্রণয়নে ১৮ মাস সময় লাগবে। এজন্য ব্যয় হবে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। এ কাজে বুয়েটের ২৯ জন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এবং রয়েল হাসকনিং ডিএইচভি’র ৬১ জন বিশেষজ্ঞ কাজ করবেন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ২৪টি ডেলিভারেবলস রিপোর্ট (সমীক্ষা এবং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফর্মা) প্রণয়ন করবে।

বলা হচ্ছে, মাস্টার প্ল্যান হলে বন্দরের অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত ৬৫০০ একর জমিতে টপোগ্রাফি ও অন্যান্য সার্ভের মাধ্যমে ল্যান্ডইউজ প্ল্যানসহ টার্মিনাল ও সব স্থাপনার অবস্থান চিহ্নিত হবে। ফলে পায়রাবন্দরের উন্নয়নের জন্য গৃহীত মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো এ রিপোর্টের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

পায়রাবন্দর সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বাস্তবায়নাধীন ১০টি প্রকল্পের একটি।