রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে মার্চে চুক্তি সই





বাংলাদেশ-রাশিয়াবাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সইয়ের প্রস্ততি শেষ হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতা দূর করতে আগামী মার্চে এই সমঝোতা স্মারক সই করা হবে।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনাটোভের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার সহযোগিতা ভুলে যাওয়ার নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কিছু জটিলতার কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আশানুরূপ বৃদ্ধি পায়নি। পাঁচটি দেশ মিলে রাশিয়ায় ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য লেনদেন এককভাবে কোনও দেশ করতে পারে না। সে কারণেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সইয়ের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে। আগামী মার্চের শেষে বাণিজ্য ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করতে এই সমঝোতা স্মারক সই করা হবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেল চালু হবে। বাণিজ্যের জন্য বাজার উন্মুক্ত হবে। তখন আর কোনও বাণিজ্য জটিলতা থাকবে না।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সি-ফুড, আলু, ওষুধ প্রভৃতি পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। সমঝোতা স্মারক সই হলে বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।’ রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনাটোভ বলেন, ‘বাংলাদেশে রাশিয়ার অনেক বিনিয়োগ আছে। আগামী মার্চে মাসে দুই দেশের মধ্যে এমওইউ সই হলে সব বাণিজ্য জটিলতা দূর হবে। রাশিয়া বাংলাদেশের জন্য বড় রফতানি বাজার। রাশিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সি-ফুড, আলু, ওষুধসহ অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। রাশিয়া এগুলো বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। এমওইউ সই হলে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক বৃদ্ধি পাবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সর্ম্পক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।’
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।