‘এলপিজির একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে’

34343434বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মনোপলি (একচেটিয়া) ব্যবসা রোধ করতে সরকারি খাতের কোম্পানি এলপি গ্যাস লিমিটেডকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৩ মার্চ) ‘সাউথ এশিয়া এলপিজি সামিট ২০১৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপিসির চেয়ারম্যান মো. শামসুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রি. জে. আলী আহমেদ খান, এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট আজম জে চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং ওয়ার্ল্ড এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিখায়েল কেলি।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘এলপি গ্যাসের (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) দাম শিগগিরই কমাতে হবে। মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তরা এলপিজি ব্যবহার করেন। সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে এলপি গ্যাসের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইপ লাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস আবাসিক খাতে ব্যবহারের জন্য আর দেওয়া হচ্ছে না। ৬০টি কোম্পানিকে প্রাথমিক এলপিজি আমদানি ও বোটলিং করার অনুমতি দেওয়া হলেও ২২টি কোম্পানি এলিপিজি বিপণন কাজে নিয়োজিত থেকে বার্ষিক সাত লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন এলপিজি সরবরাহ করছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে দুর্ঘটনা হচ্ছে অসচেতনতার অভাবে। গ্রাহকদের সচেতন করার উদ্যোগ সমন্বিতভাবে করতে হবে। সিলিন্ডারগুলোতে ট্র্যাকিং করার উদ্যোগ নিলে কার সিলিন্ডার কোথায় কী অবস্থায় আছে তা জানা যাবে। সরকার গভীর সমুদ্রে এলপিজি টার্মিনাল করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে।’

এবারের এই এলপিজি সম্মেলনে বাংলাদেশের ১৮টিসহ বিভিন্ন দেশের ৮০টি কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। ৪২টি দেশের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দিয়েছেন।