পাট রক্ষায় বাধ্যতামূলক প্যাকেজিং আইনের বাস্তবায়ন চান দস্তগীর গাজী

সেমিনারে কথা বলছেন দস্তগীর গাজী

পাট রক্ষায় বাধ্যতামূলক প্যাকেজিং আইন বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। 

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনে (বিজেএমসি) জাতীয় পাট দিবস-২০১৯ উপলক্ষে ‘বিশ্ববাজারে পাট  ও পাটজাত পণ্যের বিপণনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে পাটের বাজার ডাউন হওয়ার কারণে পাটশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে পাটের সম্ভাবনা নষ্ট হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ব এখন প্লাস্টিককে বর্জন করতে শুরু করেছে। আর সেজন্য আমরা পাটের সুদিন নিয়ে আশাবাদী। আমাদের পাটের সব সম্ভাবনার বিষয়গুলোকে নিয়ে কাজ করতে হবে; খুব দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। সরকারি এবং বেসরকারিভাবে পাটকে এগিয়ে নিতে পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। সরকারি পাটকলের চেয়ে প্রাইভেট পাটকল বাজারে পণ্য আগে আনতে পারে। এজন্য সবার সহযোগিতা দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাটশিল্প রক্ষায় সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার গতি দ্রুত বাড়ানো হবে। বাধ্যতামূলক প্যাকেজিং আইন শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা যদি বাধ্যতামূলকভাবে পাট পণ্যের ব্যবহার বাস্তবায়ন করতে না পারি, তাহলে পাটশিল্প রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য এখন থেকে নিয়মিত পাট রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।’

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘পাট রক্ষায় আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি পাটের কোনও দুর্নীতি বা গাফিলতি মেনে নেবো না। আমরা পাটের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। পাকিস্তান আমাদের পাটের ন্যায্যমূল্য দিতো না। যার জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা পাটের অস্তিত্ব রক্ষায় সেদিন আমাদের অধিকার আদায় করেছিলাম। এদিকে, পাটের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে বেশি বেশি মেলার আয়োজন করতে হবে। দেশের বিভিন্ন জেলায় পাটের স্টল খুলতে হবে। তাহলে লোকালি আমাদের পাট পণ্য কেনার আগ্রহ বেশি বাড়বে।’

বিজেএমসিকে নিজেদেরই বাঁচতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিজেএমসি কীভাবে বাঁচবে, সেটা তাদের নিজেদেরই দেখতে হবে। পাট মন্ত্রণালয় কৃষকদের বাঁচাতে কাজ করছে। বিজেএমসিকে বাঁচানোর পাট মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। বিজেএমসি হলো পাট মন্ত্রণালয়ের একটি অংশ।  সেখানে পাটের সুদিন ফেরাতে বা বিজেএমসিকে নিজেদের অবস্থান আরও উন্নতি করতে তাদের নিজেদেরই পরিকল্পনা নিতে হবে।’

এসময় আরও ছিলেন– পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো মিজানুর, মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পরিচালক ড. খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাছিম, বিজেএমএ প্রতিনিধি, বিজেজিএ প্রতিনিধি, বিজেএসএ’সহ পাট সংশ্লিষ্ট সব স্টেক হোল্ডার, বিভিন্ন পাট ব্যবসায়ী, বিআরআইয়ের মহাপরিচালক প্রমুখ।