চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশ-ভারত কাস্টমস গোয়েন্দাদের আলোচনা




বাংলাদেশ-ভারতচোরাচালান বন্ধে প্রথমবারের মতো ভারতের কাস্টমস গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টিলিজেন্স (ডিআরআই) ও বাংলাদেশের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের ডিজি পর্যায়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার (৩১ মার্চ)। দুই দিনব্যাপী এই আলোচনায় দুই দেশের বাণিজ্য সহজীকরণ থেকে শুরু করে স্বর্ণ চোরাচালান, অবৈধ পণ্য প্রবেশে নজরদারি, গরু পাচার, মাদকসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই আলোচনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আগামী ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল দুই দেশের ডিজি পর্যায়ে আলোচনা হবে। দুই দেশের বাণিজ্য সহজীকরণ থেকে শুরু করে স্বর্ণ চোরাচালান, অবৈধ পণ্য প্রবেশে কঠোর নজরদারি, গরুপাচার, মাদকসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। সীমান্ত নিরাপদ রাখার পাশাপাশি মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি বন্ধের বিষয়েও আলোচনা হবে। তবে এর বাইরেও আরও নতুন এজেন্ডা আলোচনায় যোগ হতে পারে বলেও জানান তিনি।
ড. সহিদুল ইসলাম জানান, দুই দেশের এই আলোচনার উদ্বোধন করবেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া।
তিনি জানান, এই আলোচনায় ভারতের ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টিলিজেন্সের (ডিআরআই) ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য মহাপরিচালক দেবীপ্রসাদ দাস। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন মুখ্য অতিরিক্ত মহাপরিচালক বন্দনা দেওরি, মুখ্য কাস্টমস কমিশনার দীপ শেখর, অতিরিক্ত মহাপরিচালক দীপঙ্কর অরুণ, ভারত দূতাবাস কাঠমান্ডুর প্রথম সচিব প্রভজিৎ সিং গুলাটি, ডিআরআই-এর উপপরিচালক রাকেশ দাহিয়া, স্বাতী বানওয়ালা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি।
বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেবেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল হাকিম, রংপুর কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল মান্নান সরদার, শুল্ক গোয়েন্দার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শামীমা আক্তারসহ ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল হাকিম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শামীমা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।