মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘কোনও কোনও থিঙ্কট্যাঙ্ক বলছে, বাংলাদেশে বেসরকারি খাতকে বেশি সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। অনেক দেশ থেকেই কম মূল্যে আমদানির সুযোগ রয়েছে। স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে গিয়ে আমদানিকে বাধাগ্রস্ত করছি কিনা- এটিও ভাবার বিষয়। যারা সুযোগ নিচ্ছে সে সুযোগ তার কাছেই থেকে যাচ্ছে কিনা তাও দেখতে হবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা অটোমেশনের দিকে যাচ্ছি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভ্যাটের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ট্যাক্স রেট করা হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বড়দের জন্য বেশি আর ছোটদের জন্য কম। আর সেটা হলে কারও কোনও ক্ষতি হবে না। এছাড়া ব্যবসায়ীদের শুধু সুবিধা দিতেই থাকলে তারা কখনও লাভজনক হবে না। কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। ফলে এসব বিষয়ও এনবিআরকে মাথায় রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনবিআর শুধু রাজস্ব আহরণ নয়, পলিসি মেকারের কাজও করে থাকে। অনেকে বলে থাকেন আমরা প্রাইভেট সেক্টরে বেশি প্রটেকশন দিয়ে থাকি। আর প্রটেকশনের কারণে দেশীয় শিল্প রক্ষার নামে বিপদগ্রস্ত হচ্ছে। দুই একটি কোম্পানিকে প্রটেকশন দিয়ে কোনও লাভ নেই। বেজা, বেপজা, হাইটেক পার্ককে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। করপোরেট ট্যাক্সের মাধ্যমে অনেক রাজস্ব আসে। আর এটা কমানো হলে রাজস্ব কোথা থেকে আসবে সেটা চিন্তা করে দেখতে হবে। ফলে কমানো হলে রাজস্ব আহরণ কমে যাবে।’