‘বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় থাকবে বাংলাদেশ’

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবশালী ২০ দেশের তালিকায় আসছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যেসব দেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে, তার মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কার্যালয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান ট্যানসহ বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদল। এসময় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিতুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১শ’ ভাগের দশমিক ৯ ভাগ অবদান রাখবে; যেখানে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ কানাডার অবদানও একই। ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গের এক বিশ্নেষণে বাংলাদেশের অর্থনীতির এ সম্ভাবনা উঠে এসেছে।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সম্প্রতি (৬ মে, ২০১৯) আইএমএফ বৈশ্বিক অর্থনীতির যে প্রক্ষেপণ প্রকাশ করেছে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে ব্লুমবার্গ এ বিশ্নেষণ করেছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে চীন। চীনের অবদান থাকবে সবচেয়ে বেশি, যা ২৮ শতাংশ। এর পরই রয়েছে ভারত। ওই সময়ে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভারতের অবদান দাঁড়াবে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতাধর এই দেশটির অবদান থাকবে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। এরপরই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। তবে আমাদের অগ্রযাত্রার যে গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, তাতে আশা করা যায় এর আগেই আমরা সে আশা পূর্ণ করতে পারবো। আশা করা যায়, অচিরেই বাংলাদেশ জি-২০ দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত হবে।’

বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চ্যান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, রোহিঙ্গ শরনার্থীদের সহযোগিতা, আর্থিক খাত সংস্কারের পদক্ষেপ, নারীদের কর্মস্থান ও নারী ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন এবং আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।