ব্যাংক নির্বাহীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করবেন অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

ব্যাংকের টাকা যারা লোপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী  আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (২২ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, ডিবিবিএল, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি ও চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমানত ও ঋণের সুদের হার ৯-৬ বাস্তবায়ন করেছে সরকারি ব্যাংকগুলো। সেই সঙ্গে গত ৬ মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণও কমেছে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে করা হবে। ব্যবসায়ী ও ঋণ গ্রহীতা উভয়ের ভালোর জন্য এটি করা হবে। সিঙ্গেল ডিজিটে সুদের হার বাস্তবায়ন করতে না পারলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়বে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অনুপাত ছিল ৩৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, সেটি জুনে এসে ৩৫ দশমিক ১৮ শতাংশে নেমেছে। সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অনুপাত ছিল ৩০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, এটি জুনে এসে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে। রূপালী ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল  ১৯ শতাংশ, জুনে এসে দাঁড়িয়েছে  ১৭ শতাংশ। একইভাবে অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ডিসেম্বরে ছিল ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ, তা জুনে হয়েছে ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বেসিক ব্যাংকে ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৫৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, জুনেও একই হার রয়েছে। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের খেলাপি ঋণেও গত ছয় মাসে কোনও পরিবর্তন হয়নি। ডিসেম্বরে ছিল ৫৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ, জুনে একই হার বিরাজ করছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতি তিনমাস অন্তর এখন থেকে ব্যাংকিং খাতের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক করা হবে। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে মিল রেখে সকল ব্যাংকিং ও  নন ব্যাংকিং খাতকে চলতে হবে।