বাণিজ্য বাধা দূর হলে সিআইএসভুক্ত দেশে রফতানি বাড়বে: বাণিজ্যমন্ত্রী




উজবেকিস্তানে গার্মেন্ট বিষয়ক কনফারেন্সে বাণিজ্যমন্ত্রীউজবেকিস্তান সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয়। দিন দিন রফতানির পরিমাণ বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ উজবেকিস্তানসহ সিআইএসভুক্ত (কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস সিআইএস ভুক্ত আজারবাইজান, বেলারুশ, কাজাখাস্তান, কিরগিস্তান, আরমেনিয়া, মলডোভা, রাশিয়া, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান) দেশসমূহে পণ্যের রফতানি বাড়াতে আগ্রহী। বাণিজ্য বাধা দূর হলে রফতানি অনেকগুণ বেড়ে যাবে।

উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) উজবেকিস্তান টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘উজবেকিস্তান টেক্সটাইল কনফারেন্স এবং গ্লোবাল টেক্সটাইল ডে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকশি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইলিয়রগানিয়েভ, তুরস্কের রাস্ট্রদূত, আইএলও, আইএফসি প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে কনফারেন্সে তৈরি পোশাক খাতের বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতির হাল নাগাদ চিত্র তুলে ধরা হয় এবং তাতে বাংলাদেশের ভূমিকা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী উজবেকিস্তান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ফোরামের রাউন্ড টেবিল বৈঠকে যোগদান করেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ছাড়াও পর্যটন, যৌথ বিনিয়োগ, ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট চালু এবং বাংলাদেশের স্পেশাল ইকনোমিক জোনে বিনিয়োগের আহবান জানান।

প্রসঙ্গত, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে কিছু জটিলতার কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী পণ্য বাংলাদেশ রফতানি করতে পারছে না। জটিলতা নিরসনে উজবেকিস্তানের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। সিআইএসভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত মে মাসে ইউরেশিয়ান ইকনোমিক কমিশনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।