সাপ্লাই চেইন অর্থায়নে সমন্বিত গাইডলাইনের প্রস্তাব বিআইবিএমের

‘সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিলসাপ্লাই চেইন অর্থায়নে সমন্বিত গাইডলাইন না থাকায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আস্থা পাচ্ছে না। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বলছে, বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সাপ্লাই চেইন অর্থায়নে গতি পায়নি। এ কারণে সাপ্লাই চেইন অর্থায়নে সমন্বিত গাইডলাইন জরুরি।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম-এর অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন ও পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। চার সদস্যের একটি গবেষণা দল এ গবেষণা সম্পন্ন করেন। গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা সিএফএ; বিআইবিএম-এর সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমীন ও তোফায়েল আহমেদ।

গবেষণা তৈরিতে দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিআইবিএম-এর প্রকাশনা থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি (বিএসসিএমএস), ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠন, এসএমই ফাউন্ডেশন এ ধরনের পণ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিতে পারে। বিশেষ করে কর্পোরেট হাউজ এবং বড় ক্রেতাদের মধ্যে সাপ্লাই চেইনের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে পারে।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স এর বর্তমান পোর্টফোলিও প্রায় ৮৭০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৯০ শতাংশের মার্কেট শেয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময়ই আর্থিক নতুন পণ্যের বিষয়ে সব সময়ই ইতিবাচক। তবে নতুন পণ্যের সব ধরনের খোঁজখবর এবং ঝুঁকি চিহ্নিত করে এরপর অনুমোদন দেওয়া হয়।’

গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা।