সম্রাট-এমপি শাওনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছে ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপিঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সংস্থাটির প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

রাজী হাসান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই সম্রাট ও এমপি শাওনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে,  এই দুই জনের বিরুদ্দে মামলা না হওয়ায় আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাদের নামে মামলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই দুজনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখার জন্য বিএফআইইউ-এর কাছে চিঠি দেয়। এনবিআরের চিঠি পাওয়ার পর দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি পাঠায় বিএফআইইউ।

বিএফআইইউ আরও যাদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছে, তারা হলেন, ফাজানা চৌধুরী, প্রশান্ত কুমার হালদার, আফসার উদ্দীন মাস্টার, আয়েশা আক্তার, শামীমা সুলতানা, শেখ মাহামুদ জোনাইদ, মো. জহুর আলম, এসএম আজমল হোসেন, ব্রজ গোপাল সরকার ও শরফুল আওয়াল।

মানি লন্ডারিং ও অর্থপাচার ঠেকাতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে বিএফআইইউ।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া সব ব্যক্তির নামে থাকা ব্যাংক হিসাব নজরদারিতে রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের নিকটাত্মীয়দের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তারও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের নামে কী পরিমাণ অর্থ ব্যাংকগুলোয় আছে, তাও জানার চেষ্টা চলছে।

এরআগে, র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, ‘মানিলন্ডারিং ও সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে বিএফআইইউ। কেউ কোনও অপরাধ করে থাকলে তার ব্যাপারে আমরা কঠোর। মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোয় অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনি সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) নিকেতনে নিজের অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে। যুবলীগের এই দুই নেতাকে গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।